বাণিজ্যমেলায় নকল হাজির বিরিয়ানি

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বাণিজ্যমেলায় নকল হাজির বিরিয়ানির স্টল Ñযাযাদি
হাজির বিরিয়ানির নাম শুনলেই জিহŸায় পানি আসে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার হাজির বিরিয়ানি স্বাদে অতুলনীয়। আর এই বিরিয়ানি নিয়ে প্রতারণার ফঁাদ বসেছে ঢাকা আন্তজাির্তক বাণিজ্যমেলায়। নকল হাজির বিরিয়ানি বিক্রি করে পকেট কাটছেন হাজারও দশর্নাথীর্র। অভিযোগ রয়েছে, দাম বেশি রাখার। এসব হাজির বিরিয়ানির জন্য তাদের নাম ও সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। হাজির বিরিয়ানি কতৃর্পক্ষ আর কোনো প্রতারকচক্রের ফঁাদে পা না দেয়ার আহŸান জানাচ্ছে দশর্নাথীের্দর। সোমবার সরেজমিন পরিদশের্ন এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে হাজির বিরিয়ানির শাখা মূলত তিনটি। তাদের প্রধান শাখা ঢাকার বংশালের নাজিরাবাজারে ৭০, কাজী আলাউদ্দিন রোডে অবস্থিত। বাকি দুটি শাখা ৯৯, মতিঝিল (করিম চেম্বার) বিমান অফিসের পাশে এবং আরেকটি প্রগতি সরণির ক ১১/৬ রোডে অবস্থিত। মতিঝিল শাখা দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পযর্ন্ত খোলা থাকে। আর প্রগতি সরণির শাখা দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত। এর বাইরে তাদের কোনো শাখা নেই। বাণিজ্যমেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করলে হাতের বামে একটু এগুলে হাজির বিরিয়ানির পঁাচটি স্টল চোখে পড়ে। তাদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী হাজির বিরিয়ানির কোনো সম্পকর্ নেই। এরপরও তারা পুরান ঢাকার ঔতিহ্যবাহী হাজির বিরিয়ানি বলে ভোক্তার কাছে দেদারচ্ছে বিক্রি করছেন। অথচ এসব স্টলের কোল ঘেঁষে রয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অস্থায়ী অফিস। মেলার স্টলগুলোতেও ক্রেতারা নকল বিরিয়ানির দোকানের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন। এসব নকল হাজির বিরিয়ানি খেয়ে বিরিয়ানির মান ও স্বাদ আগের মতো নেই বলে ধারণা করছেন অনেকেই। গত ১৮ জানুয়ারি ক্রেতার কাছে মূল্য বেশির অভিযোগ আসে ভোক্তা অধিদপ্তরে। পরে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় তারা। আশরাফ আলী নামে এক দশর্নাথীর্ বলেন, দাম তো কম না। হাজির বিরিয়ানি নাম ব্যবহার করে হাজির সমমূল্যে বিক্রি করছেন তারা। এই প্রতারণার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। হাজির বিরিয়ানির মতিঝিল শাখার পরিচালক মো. জুয়েল টেলিফোনে বলেন, ‘আমাদের তিনটি শাখায় তাদের রান্নার মান ও স্বাদ একই বজায় থাকে। কিন্তু নকল হাজির বিরিয়ানির জন্য তাদের নাম ও সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যমেলার স্টলগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পকর্ নেই। ক্রেতারা নকল বিরিয়ানির দোকানের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেলা কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।’ ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (গবেষণা) প্রণব কুমার প্রামাণিক বলেন, মেলায় যে নামে স্টল নেয়া আছে, সে নামেই তারা দোকান পেয়েছে। প্রকৃত হাজির ব্যানার ব্যবহার করায় সুনাম ক্ষুণœœ হলে তারা ভোক্তা অধিদপ্তরের হেড অফিসে অভিযোগ করতে পারবেন। পরে সেটা তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাজির বিরিয়ানি স্টলের পরিচালক আবদুল কাদির বলেন, ‘হজ করলেই হাজি হয়। এই হাজি মেলার হাজি। মেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্টলও শেষ হবে।’ পুরান ঢাকার হাজির বিরিয়ানি বলে কেন বিক্রি করছেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমর্চারীরা জানে না, তাই বলে। তবে আমাদের বিরিয়ানির মানও খারাপ না।’