হঠাৎ প্রেস ক্লাবের সামনে হাজারও বাইকার

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন বাইকারা -যাযাদি
বাইকারদের কল্যাণে আসে না- এমন মোটর সাইকেল চলাচল নীতিমালাকে 'না' জানিয়ে সেটি সংশোধন এবং পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলের দাবি জানিয়েছেন প্রায় এক হাজার চালক। তারা তাদের দাবিগুলোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সড়ক ও মহাসড়ক যানজট ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণেও নানা মতামত রাখেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান অংশগ্রহণকারী হাজারো বাইকার। তারা বিভিন্ন গ্রম্নপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজধানীতে ভাড়ায় বাইক চালান। মানববন্ধনে বাইকাররা বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জেনেছি যে, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের মোটর সাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩-এর খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, শহরে মোটর সাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। মহাসড়কে মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ক্ষমতসম্পন্ন মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে। এবং চালক ব্যতীত কোনো আরোহী নেওয়া যাবে না। ঈদ ও উৎসবের আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটর সাইকেল চলানো যাবে না। তারা বলেন নীতিমালাটির 'বেশ কিছু ধারা অপ্রাসঙ্গিক এবং এসব আমাদের শহর ও মহাসড়কে চলাচলের নিরাপত্তা বাড়াবে না, উল্টো ভোগান্তি বাড়াবে। মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র মোটর সাইকেলের ওপরে আইন প্রণয়ন করে জ্যাম ও দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। তারা বলেন, 'আবাসিক এরিয়াতে সর্বোচ্চ গতি ৩০। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র মোটরসাইকেল নয়, সব যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হোক। যেখানে আমাদের দেশে সব শহরে অপরিকল্পিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি চলে ৪০ থেকে ৫০ স্পিডে। ফুটপাতবিহীন এরিয়াতে হেঁটে চলাচল করাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো নিয়ে আইন প্রণয়ন করা হলে জ্যাম এবং দুর্ঘটনা কমবে।' তারা আরও বলেন, 'আমরা যখন মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন করি, তখনই সরকার আমাদের পিলিয়নসহ মোটর সাইকেল চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এখন তাদের মনে হয়েছে পিলিয়ন নেওয়া যাবে না। এটা একেবারেই অযৌক্তিক।' বাইকাররা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মোটর সাইকেল ১২৫ সিসির মধ্যে বিভিন্ন উৎসবে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে আমরা মোটর সাইকেল ব্যবহার করি। মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আমরা এই পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছি। তারপরে নিজ গন্তব্যে গিয়ে সেখানে নানা চলাফেরায় এই মোটর সাইকেল আমাদের প্রধান বাহন হয়ে থাকে। অথচ আজ বলা হচ্ছে, ঈদ-পূজা পার্বণে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়া যাবে না। এই অযৌক্তিক নীতিমালার খসড়া কোনো পন্থায় তৈরি হলো সেটিই প্রশ্ন।