চিংড়ির ওজন বাড়াতে জেলি, মটরে সবুজ রং

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চিংড়ি মাছের মাথায় ক্ষতিকর জেলি পুশ করে বাড়ানো হচ্ছে ওজন। পাকা মটরে রং মিশিয়ে করা হচ্ছে সবুজ। পোড়া তেলে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক খাবার। মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ, পাহাড়তলি ও হালিশহর থানা এলাকায় বাজার তদারকিমূলক অভিযানে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়গুলো উঠে আসে। চারটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর আওতায় ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগর পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানে পোড়াতেল, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, মেয়াদোত্তীণর্ উপকরণ, রং দেয়া করমচা, মটর ও জেলি মেশানো চিংড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। অধিদপ্তরের জেলা কাযার্লয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আকবরশাহ থানার কনের্লহাট কঁাচাবাজারে জসিম আলির মাছের দোকানকে জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয় ৮ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ। পাহাড়তলি থানার আব্দুল আলী হাট এলাকার আম্মান ফাস্টর্ফুডকে পোড়াতেল সংরক্ষণ, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, মেয়াদোত্তীণর্ উপকরণ ব্যবহার, রং দেয়া করমচা ব্যবহারের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৮০ লিটার পোড়াতেল, মেয়াদোত্তীণর্ উপকরণ, অননুমোদিত রং এবং রং দেয়া করমচা ধ্বংস করা হয়। হালিশহর থানার ফইল্যাতলি কঁাচাবাজারে রং দেওয়া মটর বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় কাদেরের সবজির দোকানকে ৫ হাজার টাকা ও রাজিবের সবজির দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতকর্ করা হয়, একই সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি রং দেয়া মটর ধ্বংস করা হয়। জনস্বাথর্ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে আগামী দিনে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।