অক্ষম-বয়স্কদের কারাভোগ থেকে মুক্তি ‘বিবেচনায়’

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল Ñযাযাদি
শারীরিকভাবে অক্ষম ও বয়স্কদের কারাভোগ থেকে বাদ দেয়া যায় কি-না, তা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিদের্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নিদেের্শ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। ২১ ফেব্রæয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তজাির্তক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। জাহালম নামে টাঙ্গাইলের এক পাটকল শ্রমিক ৩৩টি মামলার ভুল আসামি হিসেবে তিন বছর কারাভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পান। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত আমাদের একটি সংস্থা আছে, কেউ এভাবে ভিকটিম থাকলে তারা তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী নিদের্শ দিয়েছেন, যারা অচল হয়ে গেছে, বয়স্ক বা দীঘির্দন জেলে আছে, তাদের বিবেচনা করার জন্যÑ শনাক্ত করে মুক্তি দেয়া যায় কি-না, তার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছেন। তবে জাহালমের ঘটনার জন্য কে দায়ী সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অনুসন্ধান করে দায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। গত কয়েকদিনে নয়জনের মতো মানুষ সীমান্তে নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করা হলে খান কামাল বলেন, সীমান্তে যেন এ ধরনের হত্যাকাÐ না হয় এবং বিএসএফ কেন এ হত্যাকাÐ চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আমাদের বিজিবি আলোচনা করছে। গত কয়েক বছর সীমান্তে ‘জিরো কিলিং’র যে বিষয়টিÑ সেটি বিরাজমান ছিল। কিন্তু নতুন করে কেন এ সমস্যা হচ্ছে, সেটি নিয়ে আরো উচ্চপযাের্য় আলোচনা হবে। এ ধরনের হত্যাকাÐ যেন আর না হয় সেটি নিয়েই আলোচনা করব। মিয়ানমার থেকে নতুন করে সেখানকার বিতাড়িত জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর নজরে আনলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি জানিয়েছে সীমান্তে সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু দুগর্ম এলাকা রয়েছে। সেখানে আমাদের বিজিবি সতকার্বস্থানে আছে। যেভাবে আমরা শুনছি, তেমন আসেনি। যারাই অসুক, তাদের আসা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ২১ ফেব্রæয়ারিতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। শহীদ মিনারের দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ে থাকে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের বাহিনী কাজ করে। এবার বিএনসিসির পঁাচশ’ সদস্য সেখানে থাকবে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-র‌্যাব, গোয়েন্দা এবং প্রয়োজনে বিজিবি-আনসার কাজ করবে। ওই এলাকায় কোনো হকার বা অস্থায়ী দোকান বসা যাবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। সেদিন সাদা পোশাকধারী পুলিশও নিয়োজিত থাকবে। দেশি-বিদেশি যারাই আসবে, প্রতিবারের মতো এবারও তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে খেঁাড়াখুঁড়ি চলছে এবং বইমেলাও চলছে, সব মিলিয়ে একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা আমরা করবো, সে জন্য রোডম্যাপ তৈরি করব। সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাই যেন নিবিের্ঘœ দিবসটি উদযাপন করতে পারে। সরস্বতী পূজার সময়ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।