বিএনপির উপদেষ্টা হোন কাদেরকে কটাক্ষ রিজভীর

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রুহুল কবির রিজভী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কটাক্ষ করে বিএনপিতে যোগ দিয়ে উপদেষ্টা পদ নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি-মঞ্চ, গণমাধ্যমের ব্রিফিঙে বিএনপির কি করা উচিত, বিএনপির পরিণতি কী হবে, বিএনপি নিবার্চন ভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে- ইত্যাদি কথার খই ফুটাচ্ছেন প্রতিদিন। আমরা জানি না সিদ্ধান্ত কখন হবে বা এখনো যে সিদ্ধান্ত হয়নি- উনি আগাম বলে দিচ্ছেন। আবার নানা ধরনের পরামশর্ দিচ্ছেন- বিএনপির নিবার্চনে কেন বিপযর্র্র্র্য় হলো ইত্যাদি, ইত্যাদি ...। রিজভী বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব শালীনতা, ভদ্রতার গুণমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় ক্রমাগত উপদেশের ভাঙ্গা টেপ রেকডর্ বাজিয়েই চলেছেন। যেভাবে তিনি কথা-বাতার্ বলছেন তার ইচ্ছাই হচ্ছে বিএনপির উপদেষ্টা হবেন। সুতরাং খামোখা উনার এখন আওয়ামী লীগে থেকে কী লাভ? বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহŸান জানাচ্ছি। বিএনপির দরজা খোলা আছে। বিএনপিকে নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে না গেলেও বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে সংসদে বিষোদগার করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন- আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল প্রত্যাশিত, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে এবং জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। এদেশে বাক স্বাধীনতা শুধু একজনেরই আছে, তিনি হলেন মিডনাইট ভোটের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একাই লাগামহীন কথাবাতার্ বলেন। বিরোধী দলকে কারাগারে ঢুকিয়ে নিবার্চনী ময়দান শূন্য করার পর বিজয় তো প্রত্যাশিত হবেই। শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকমীর্ ছাড়া কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেনি। এমনকি মহাজোটের শরিকরাও এখন বলছে যে, ভোট হয়েছে আগের রাতেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ক্ষমতাক্ষুধা গ্রাস করেছে গণতন্ত্রকে। রিজভী বলেন, দলের চেয়ারপারসন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণমানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা দেয়ার এক বছর পূণর্ হলো আজ। চরম অবিচার আর অন্যায়ের আঘাতে দেশনেত্রীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে, এক ব্যক্তির অত্যুগ্র ক্ষমতার ক্ষুধা চরিতাথর্ করতেই গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে কবরস্থ করার জন্য তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটি অপরিসীম জাতীয়তাবাদী নেত্রীর বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশি শক্তির নিষ্ঠুর প্রতিশোধের খেলা, এটি প্রতিহিংসার সাজা। খালেদা জিয়াসহ নেতাকমীের্দর মুক্তির দাবিতে দুইদিনের কমর্সূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রমনার ইঞ্জিনিয়াসর্ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভা এবং ৯ ফেব্রæয়ারি ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশের জেলা ইউনিট প্রতিবাদ কমর্সূচি করবে। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।