বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য

মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স বেড়েছে

বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশ থেকে মোট ৯২ কোটি ৬১ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অথর্ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা একক মাস হিসাবে চলতি অথর্বছরে সবোর্চ্চ।

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাতে সরকারের নানা উদ্যোগ, সেই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকা বেশি পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশ থেকে মোট ৯২ কোটি ৬১ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অথর্ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা একক মাস হিসাবে চলতি অথর্বছরে সবোর্চ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অথর্বছরে প্রথম সাত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে মোট ৯০৮ কোটি ৬১ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৫৩৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। প্রবাসী আয় পাঠানোর শীষের্ থাকা ১০ দেশের মধ্যে ৬টিই মধ্যপ্রাচ্যের। এর মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। দেশটি থেকে প্রবাসীরা মোট ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের সাড়ে ১৮ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীষর্ ১০-এর বাকি দেশগুলো হচ্ছে- আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন। জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি থেকে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। চতুথর্ স্থানে থাকা কুয়েত থেকে এসেছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২ কোটি ২৮ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। কাতার থেকে এসেছে ৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার, ওমান থেকে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, ইতালি থেকে ৮ কোটি ২৪ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে ৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, বিগত বছরে (২০১৮) প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে মোট এক হাজার ৫৫৭ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। যা আগের অথর্বছরের তুলনায় ২০৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। তার আগের বছর ২০১৬ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সের তথ্য পযাের্লাচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অথর্বছরে সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মাকির্ন ডলার। গত ২০১৬-১৭ অথর্বছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মাকির্ন ডলার। এছাড়া সবের্শষ ২০১৭-১৮ অথর্বছরের এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা তার আগের অথর্বছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।