কাজে শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না: দুদক সচিব

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত
দুনীির্ত দমন কমিশনে (দুদক) যেসব অভিযোগ বা চিঠি আসে, তা দ্রæত উপস্থাপন করে নিধাির্রত সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। কাজের গুণগত মানেও কোনো আপস করা হবে না। এ ক্ষেত্রে কারও শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না। এমনটাই বলেছেন সংস্থাটির নতুন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত। সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে কমিশনের বিভিন্ন স্তরের কমর্কতার্-কমর্চারীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সচিব এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, যেকোনো কাজের মূল ভিত্তি তৈরি করেন নিম্নপদস্থ কমর্চারীরা। তারা যদি সুচারুরূপে কাজটি শুরু করেন, তাহলে এর একটি সফল সমাপ্তি হয়। কমিশনের কমর্কতার্-কমর্চারীসহ সবার সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে সততা ও দ্রæততার সঙ্গে কাজ শেষ করলে অভিযোগের অনুসন্ধান কিংবা মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে। এতে কমিশনের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘এ দেশের মানুষের হৃদয়ের আকুতি হচ্ছে, দুনীির্তকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে এবং উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় ও টেকসই করতে দুনীির্ত প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই।’ সব সিস্টেম লসের পেছনে দুনীির্ত রয়েছে উল্লেখ করে দুদক সচিব বলেন, ‘আমাদের সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে হবে।’ মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘দুদকের আইনি দায়িত্ব হচ্ছে দুনীির্ত প্রতিরোধ করা। তাই এই প্রতিষ্ঠানের কাজে আমরা যারা জড়িত, তাদের নিজেদের সব দুনীির্তর ঊধ্বের্ থাকতে হবে। কেউ দুনীির্ততে জড়ালে পরিণতি সুখকর হবে না।’ দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কমিশনের বিভিন্ন স্তরের কমর্কতার্-কমর্চারী উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্তকে গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রোববার তিনি নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দুদকে যোগ দেয়ার আগে সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের আথর্সামাজিক ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। কমর্জীবনে মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারসহ মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।