এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা অনশনে এসিটি শিক্ষকরা

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
এমপিওভুক্তির দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ৯ম দিনের মতো অবস্থান কমর্সূচি পালন করেন এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকরা Ñযাযাদি
টানা ৯ম দিনের মতো সেকায়েপ (সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি) শিক্ষকদের অবস্থান কমর্সূচি চলছে। একই সঙ্গে টানা পঁাচ দিনের মতো অনশন কমর্সূচি পালন করছেন তারা। অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভতির্ হয়েছেন ২৬ জন শিক্ষক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কমর্সূচি পালনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিন সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করতে দেখা গেছে। কারো মুখে ¯েøাগান, আবার কারো শরীরে দেওয়া হচ্ছে স্যালাইন। তাদের মধ্যে যারা বেশি অসুস্থ ছিলেন তাদের নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। সকাল সোয়া ১১টার দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একত্ম প্রকাশ করেন। তিনি এ আন্দোলনের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। আশ্বাসের কথা শুনে সবাই সাধুবাদ জানালেও আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষকরা জানান। অনশন কমর্সূচি পালনকারী শিক্ষকরা জানান, মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য ২০১৫ সালে সরকার সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫০ উপজেলার ২১০০টি মাধ্যমিকে ৫ হাজার ২০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দেয়ার সময় বলা হয় প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ী করা হবে, যা ৩৬ নম্বর ম্যানুয়ালে উল্লেখ ছিলো। কিন্তু নানা অজুহাতে এখন পযর্ন্ত এমপিওভুক্তি করা হয়নি। বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশেক চন্দ্র বমর্ণ বলেন, আমরা এমপিওভুক্তির দাবিতে এ নিয়ে চারবার রাস্তায় নেমেছি, কোনো কাজ হয়নি। এখন আমরা অবস্থান ও অনশন পালন করছি। ইতোমধ্যে নারী শিক্ষকসহ আমাদের ২৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভতির্ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে বিনা বেতনে ১৪ মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী মানবতাবাদী। তিনি আমাদের একটা সমাধান দেবেন। আবার আমরা আনন্দের সঙ্গে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারব।