তদন্তের নিদের্শ

কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের ছাদ ভেঙে আহত ৯

সকাল পৌনে ৯টার দিকে কারাগারের প্রবেশপথের ফটক নিমাের্ণর কাজ চলছিল। হঠাৎ ফটকের ছাদ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়েন শ্রমিকরা। পরে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সাভির্স ও সিভিল ডিফেন্সের দুই ইউনিটের কমীর্রা গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি নিমার্ণাধীন ফটকের ছাদ ভেঙে পড়ে নয় শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। আহত শ্রমিকদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোডর্ হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে। রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকরা হলেনÑ মো. ইব্রাহিম (৪০), ফারুক হোসেন (২৫), মঈন উদ্দিন মিয়া (২২), মো. রবিউল (২০), ইউনুছ মিয়া (২৫), মেরাজ হোসেন (২৭), আবদুর রাজ্জাক (৩০), হারুন অর রশিদ (২৮) ও সিরাজুল ইসলাম (২৬)। এঁদের মধ্যে মো. ইব্রাহিম ও সিরাজুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদশীর্ ব্যক্তিরা জানান, সকাল পৌনে নয়টার দিকে কারাগারের প্রবেশপথের ফটক নিমাের্ণর কাজ চলছিল। হঠাৎ ফটকের ছাদ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়েন শ্রমিকরা। পরে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সাভির্স ও সিভিল ডিফেন্সের দুই ইউনিটের কমীর্রা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারারক্ষী জানান, সপ্তাহখানেক আগে নিমার্ণাধীন এই কারাফটকের ছাদ ঢালাই দেয়া হয়। ছাদের নিচে কাঠ ও বঁাশ দিয়ে ঠেকা দেয়া ছিল। তবে নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট, বালুসহ বিভিন্ন মালামাল ব্যবহার করায় ছাদটি ভেঙে পড়েছে। জানা গেছে, কারাগারের প্রবেশপথের ফটক নিমার্ণ কাজটির দায়িত্বে রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসাসর্ মমতাজ ইঞ্জিনিয়ারিং। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রনি। মেসাসর্ মমতাজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাউছার বলেন, গত বৃহস্পতিবার ফটকের ছাদটি ঢালাই দেয়া হয়েছিল। কী কারণে এ দুঘর্টনা ঘটেছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া নিমার্ণকাজে উন্নত মানের টেকসই মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ ফায়ার সাভির্স স্টেশনের ইনচাজর্ সজীব সরকার বলেন, ‘সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আমরা সংবাদ পাই কারাগারের ফটকের ছাদ ভেঙে পড়েছে। তৎক্ষণাৎ দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সাতজন নিমার্ণশ্রমিককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোডর্ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ছাদের নিচে এখনো কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী বলেন, দুঘর্টনায় আহত সাতজনকে মিটফোডর্ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কী কারণে ফটকের ছাদ ভেঙে পড়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।