সংবাদ সম্মেলনে কাদের

বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মামলায় আওয়ামী লীগ বিব্রত নয়

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭৪ জন প্রাথীর্ হাইকোটের্ নিবার্চন চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন।

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর ধানমÐিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কাযার্লয়ে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের Ñযাযাদি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোটের্ বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীের্দর মামলার বিষয়ে সরকারি দল বিব্রত নয়। এ বিষয়টি নিবার্চন কমিশন দেখবে। শুক্রবার ধানমÐিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭৪ জন প্রাথীর্ হাইকোটের্ নিবার্চনী মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনে তারা ওই নিবার্চন বাতিল চেয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে প্রাথীর্রা এসব নিবার্চনী মামলা করেন। মামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছেÑএমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি আমলে নেয়ার কিছু নেই। নিবার্চন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার সম্পূণর্ এখতিয়ার নিবার্চন কমিশনের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিবার্চন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করেন, এ বিষয়ের দায় বতার্য় নিবার্চন কমিশনের ওপর। নিবার্চন কমিশন এখন আদালতে গিয়ে মোকাবিলা করবে। আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। এটাই নিয়ম। এখানে তাদের (আওয়ামী লীগ) কিছু করার নেই। বিষয়টা সম্পূণর্ভাবে নিবার্চন কমিশনের এখতিয়ার। জামায়াতের এক শীষর্ নেতার দল থেকে পদত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধে ভ‚মিকার জন্য দলটি ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগ বিষয়টি কীভাবে নেবেÑএ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমা চাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন তারা। জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতের ওপর নিভর্র করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নিবার্চনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত নিলেও দলটির স্থানীয় পযাের্য়র নেতারা তা মানবেন না। স্বতন্ত্র প্রাথীর্ হিসেবে হলেও বিএনপি নিবার্চনে আসবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল যেন বৃদ্ধি পায়, সেই কৌশল থেকেই বিএনপি উপজেলা নিবার্চনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি এই নিবার্চনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়বে, তাতে বিএনপির লাভ কী? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? নৌকার প্রাথীর্ না জিতলে বিদ্রোহী প্রাথীর্ জিতবে। সে-ও তো আওয়ামী লীগের। তাতে বিএনপির লাভ কী? আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।