ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মাহফুজা চৌধুরী পারভীন
ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বতর্মানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমাকের্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) আতিকুর রহমান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের বিষয়ে নিউমাকের্ট থানায় ব্রিফ করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। গত ১০ ফেব্রæয়ারি নিজের বাসায় খুন হন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের বাসায় থাকতেন তিনি। এ ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকমীর্ স্বপ্না ও রেশমা পালিয়ে যান। পুলিশ খুনি হিসেবে প্রাথমিকভাবে তাদের সন্দেহ করছে। মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলায় দুটি ফ্ল্যাটে (ডুপ্লেক্স) এই দম্পতির বহু দিনের সংসার। ওপরের অংশটিতে তারা থাকেন। নিচতলায় রান্নাঘর, গৃহকমীের্দর আবাস। তাদের দুই ছেলের একজন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক, আরেকজন ব্যাংকে চাকরি করেন বলে জানান স্বজনরা। তারা এখানে থাকেন না। বাড়িতে তিনজন গৃহকমীর্ ছিলেন। মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার ঘটনায় ১১ ফেব্রæয়ারি সকালে রাজধানীর নিউমাকের্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন তার স্বামী ইসমত কাদির গামা। মামলায় তার বাড়ির দুই গৃহকমীর্সহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের স্বাথের্ তৃতীয় ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদের ভাষ্য, কারও একার পক্ষে ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যা করা সম্ভব নয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একাধিক ব্যক্তি তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন। মাহফুজা চৌধুরীকে মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার ঠেঁাট, মুখ ও আঙুলে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার হাতের একটি আঙুল ভাঙা ছিল। মাহফুজা চৌধুরীকে একজনের পক্ষে হত্যা করা সম্ভব নয়। ধস্তাধস্তির একপযাের্য় শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মাহফুজা চৌধুরীর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এ কথা জানান তিনি।