ডাকসুর ভোটকেন্দ্র নিয়ে অনলাইনে গণভোটের পরামশর্ প্রাক্তনদের

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঢাবি শিক্ষাথীর্ অধিকার মঞ্চের নেতারা Ñযাযাদি
সুষ্ঠু নিবার্চনের স্বাথের্ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে অনলাইনে গণভোটের মাধ্যমে মতামত নেয়ার পরামশর্ দিয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথীর্ অধিকার মঞ্চ’। শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরামশর্ দেন ২০১২ সালে ডাকসু নিবার্চনের দাবিতে আন্দোলন পরিচালনাকারী শিক্ষাথীের্দর এ প্ল্যাটফরম। সেই সময় স্মারকলিপি, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, অবরোধ, ধমর্ঘটসহ বিভিন্ন কমর্সূচি নেয় সংগঠনটির নেতাকমীর্রা। পরবতীের্ত ২০১২ সালের মাচের্ মঞ্চের ২৫ জন সদস্য আদালতে রিট করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দীঘর্ ২৮ বছর ধরে অচল থাকা ডাকসু নিবার্চন। এই আন্দোলনকারীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষাথীর্। এদের মধ্যে নূর বাহাদুর, মওদুদ মিষ্টি, নুরে আলম দুজর্য়, আইনজীবী মনজিল মোশের্দসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষাথীর্ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষাথীর্ অধিকার মঞ্চের অন্যতম সদস্য মওদুদ মিষ্টি। তিনি বলেন, ভোট নিয়েও যেন শঙ্কার শেষ নেই। আদতে ভোট হবে তো? শিক্ষাথীর্রা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে তো? এটা যদি না হয় তবে শিক্ষাথীের্দর উচ্ছলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে। সংবিধানের দিকে দৃষ্টিপাত করে তিনি বলেন, ডাকসুর বতর্মান সংবিধানে শিক্ষাথীের্দর স্বাথের্ আন্দোলন ও অবস্থান নেয়ার ক্ষমতা কতটা দেয়া হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। বলা হচ্ছে- ইউনিয়নটি শিক্ষাথীের্দর। অথচ এর চ‚ড়ান্ত ক্ষমতা ভিসির হাতে। তিনি বিষয়টি পুনবিের্বচনা করার জন্য প্রশাসনকে আহŸান জানান। ডাকসুর প্রতিনিধিদের ‘রি-কল’ করার কোনো নিয়মই গঠনতন্ত্রে নেই উল্লেখ করে ঢাবির সাবেক এ শিক্ষাথীর্ বলেন, ডাকসুকে চাই সাধারণ শিক্ষাথীের্দর অধিকারের পক্ষে কথা বলার, লড়াই করার সংগঠন হিসেবে। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিমাের্ণর অগ্রণী সংগঠন হিসেবে। গঠনতন্ত্রকে কীভাবে আরও বেশি শিক্ষাথীর্বান্ধব করে তোলা যায় সেজন্য বতর্মান শিক্ষাথীর্রা তাদের বিচার-বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাবেনÑ এমনটাই প্রত্যাশা।