মেয়র খোকনের তথ্য

চলতি সপ্তাহেই কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সাঈদ খোকন
চলতি সপ্তাহেই পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে। অভিযানে ঝুঁকিপূণর্ কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোের্রশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগঁাওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান। ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ইস্যুজ ইন বাংলাদেশ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়াডর্’ শীষর্ক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ফায়ার সাভির্স অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইসাব)। সাঈদ খোকন বলেন, জনবহুল পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনগুলো একটা বড় সমস্যা। নিমতলি ট্রাজেডির পরই কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহেই ঝুঁকিপূণর্ কেমিক্যাল গোডাউনে মোবাইল কোটের্র মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে। ঝুঁকিপূণর্ নয় এমন কেমিক্যাল ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না। বিভিন্ন অগ্নিকাÐের ঘটনার পর নাশকতা প্রশ্ন উঠলেও শেষ পযর্ন্ত সুরাহা না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কড়াইল বস্তি, গুলশানের সিটি কপোের্রশন মাকের্টসহ বেশ কয়েকটি অগ্নিকাÐে পর সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি কিংবা মামলা হলেও বিষয়গুলো সুরাহা হয়নি। অগ্নিকাÐের কারণটাও জানা সম্ভব হয়নি। এসব অগ্নিকাÐে ঘটনা যদি ক্রাইম হয়ে থাকে তাহলে আমরা একটা ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ফায়ার সাভির্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিদের্শনা, অনুরোধ বা আহŸান জানাব, অন্তত একটি ক্রাইমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাÐের সূত্রপাত হচ্ছে। এগুলোকে আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলেও জানান তিনি। মেয়র বলেন, ১২০ স্কয়ার কিলোমিটারের ঢাকা শহরে হাজারো সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে অগ্নিকাÐের চ্যালেঞ্জগুলো একটা বড় সমস্যা। তবে গত ১০ বছরে ফায়ার সাভিের্সর সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। নগরীর গ্যাস লাইনগুলোতে সেন্সর ইনস্টল করতে পারলে এটা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের বছর নাগাদ সবাই ওই প্রকল্পের সুফল পাবেন। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন তার আলোচনায় বলেন, সারা শহরের নিচে মাকড়সার জালের মতো গ্যাসের লাইন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুঘর্টনা ঘটলে গ্যাসের লাইনগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যা হবে তা আমাদের চিন্তার বাইরে। তাই খুব শিগগির গ্যাস লাইনগুলোতে অটোসেন্সর স্থাপন করতে হবে। গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফায়ার সাভির্স অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান। তিনি তার বক্তব্যে অগ্নিকাÐের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পকির্ত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়া, অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে করণীয় ও চলমান কাযর্ক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।