ঢাবি ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায় ছাত্রদল

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ঢাবি প্রতিনিধি
QvÎ`‡ji †K›`ªxq mvaviY m¤úv`K AvKivgyj nvmvb †iveevi XvKv wek¦we`¨vjq gayi K¨vbwU‡b mvsevw`K‡`i m‡½ Kjv e‡jb Ñhvhvw`
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অর্থবহ গণতান্ত্রিক পরিবেশের নিশ্চয়তা চেয়েছে ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তারিখ তিন মাস পেছানোর দাবিতে অটল থাকলেও এটি তাদের মূল দাবি নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। তিনি জানান, তাদের মূল দাবি নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে করা এবং ক্যাম্পাসে অর্থবহ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, 'নির্বাচন শুধু পেছানোর জন্য পেছানো নয়, আমরা চাইছি একটা আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ। আমরাও চাই, ডাকসু যত দ্রম্নত সম্ভব কার্যকর হোক। কেবল ডাকসু নির্বাচনকে হালাল করতেই যদি সহাবস্থানের নামে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, সেটা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে তামাশা। আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবিটি জানাচ্ছি।' ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ৯ বছর পর রোববার সকালে তৃতীয় দিনের মতো মধুর ক্যানটিনে যান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যানটিনে ঢোকেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিকী। দুপুর ১২-২০ মিনিটে সেখানে যান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এর আগে ৯ বছর পর গত বুধবার প্রথমবারের মতো মধুর ক্যানটিনে গিয়েছিল ছাত্রদল। সেদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে বিরতিহীন স্স্নোগান দেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্স্নোগান দেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো মধুর ক্যানটিনে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওইদিন কোনো স্স্নোগান-পাল্টা স্স্নোগানের ঘটনা ঘটেনি। মধুর ক্যানটিনে নির্বিঘ্নে সোয়া দুই ঘণ্টা সময় কাটায় ছাত্রদল। গতকালও ক্যানটিনে নির্বিঘ্নেই সময় কাটিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মধুর ক্যানটিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এক প্রশ্নের জবাবে আকরাম বলেন, 'আমরা স্থিতিশীল সহাবস্থান চাই। মধুর ক্যানটিনে অবস্থানের পাশাপাশি আমাদের যেসব কর্মীর হলে থাকার অধিকার আছে, তাদের হলে ওঠার ব্যবস্থা করতে হবে। সহাবস্থানের সঙ্গে হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। নির্বাচন ঘিরে গঠিত কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের সেখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।' মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নোটিশ বোর্ড রয়েছে। বোর্ডে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংগঠনটির বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি, বক্তব্য ইত্যাদি জানানো হয়। ছাত্রদল দীর্ঘদিন মধুর ক্যানটিনে না থাকায় সেখানে তাদের কোনো নোটিশ বোর্ড নেই। তবে শিগগিরই মধুর ক্যানটিনে নোটিশ বোর্ড স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। এ ব্যাপারে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, মধুর ক্যানটিনে নোটিশ বোর্ড স্থাপনের জন্য তাদের সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত হওয়ার পর খুব শিগগির নোটিশ বোর্ড স্থাপন করা হবে।