চট্টগ্রামের নারীদের বিদেশ যাওয়ার আগ্রহ কমছে

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
we‡`k Mg‡b”Qz GK bvix PÆMÖvg †Rjv Kg©ms¯’vb I Rbkw³ cÖwkÿY Kvh©vj‡q bvg wbeÜb Kiv‡”Qb ÑdvBj Qwe
কাজের জন্য বিদেশ যাওয়ার আগ্রহ কমছে চট্টগ্রামের নারীশ্রমিকদের। এক বছরে বিদেশ গমনেচ্ছু নারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণাকে দায়ী করছেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি প্রশিক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি প্রশিক্ষণ অফিসের (বিএমইটি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, মন্ত্রণালয়, দূতাবাসসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ইতিবাচক প্রচারে কারণে নারীশ্রমিকদের বিদেশ যাওয়ার হার বেড়েছিল। তবে এখন আবার তা খুব দ্রম্নত কমে যাচ্ছে। বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে যেসব নারীশ্রমিক দেশের বাইরে যান, তাদের চার-তৃতীয়াংশের বেশি যান সৌদি আরব ও ওমানে। জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ থাকেন সৌদি আরব, ওমান ও দুবাইয়ে। সে কারণেই নারীরা পরিচিতজনদের পাশে থাকতে সৌদি আরব ও ওমান যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন বেশি। তবে এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম থেকে বিদেশ গিয়েছিলেন এক হাজার ৪৯৬ জন নারী শ্রমিক। ২০১৭ সালে তা কিছুটা কমে হয়েছিল এক হাজার ৪২২ জন। আর গত বছর তা প্রায় অর্ধেক কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জনে। ২০১৬ সালে এক হাজার ৪৯৬ জনের মধ্যে ৬৫৪ জন সৌদি আরব এবং ৫৮৪ জন ওমান গিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে মোট সংখ্যা কমলেও সৌদি আরবগামী নারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৭৭২ জন। আর ওমান গিয়েছিলেন ৪৪১ জন। গত বছর ৯৫৮ জনের মধ্যে ওমান গিয়েছিলেন ৪০৭ জন। আর সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ৩৯৮ জন। জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ''চট্টগ্রামের নারীরা কিছুটা 'রক্ষণশীল' হওয়ায় এমনিতেই বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কম। এর ওপর অনেকে বিদেশে নারীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের কথা বলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ জন্য নারীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।" জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি প্রশিক্ষণ অফিসের এই কর্মকর্তা বলেন, 'অনেকে দালালের মাধ্যমে গিয়ে সেখানে প্রতারিত হয়ে অল্প দিনের মধ্যে ফিরে আসছেন। তারা ফিরে আসায় নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে। পাশাপাশি দালালদের মাধ্যমে যাওয়া নারীদেরও বৈধভাবে গেছে মনে করে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।' বিদেশগামী নারীদের চট্টগ্রামের মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বাংলাদেশে-কোরিয়া মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে দুটি ইনস্টিটিউটে এক মাস করে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর পাঠানো হয়। এই প্রশিক্ষণে আচার-আচরণের পাশাপাশি গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবহারও শেখানো হয়। সৌদি আরব, ওমান ছাড়াও গৃহকর্মী হিসেবে কিছু নারী দুবাই, জর্ডান, লেবানন, পোশাকশ্রমিক হিসেবে মরিসাস, কোরিয়ার মতো দেশেও গিয়ে থাকে বলে বিএমইটি কর্মকর্তারা জানান।