বছরে ৩০ লাখ টন ভুট্টা আমদানি হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
W. †gv. Avãyi iv¾vK
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, 'বাংলাদেশে কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়লেও এখনও প্রতি বছর ৩০ লাখ টন ভুট্টা আমাদানি করতে হচ্ছে। পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারে পুষ্টিমানসম্পন্ন ভুট্টার বেশ চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভুট্টার গুরুত্ব অপরিসীম।' আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মহাপরিচালক ড. মার্টিন ক্রোফ। কৃষিমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'আমাদের দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়া ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দেরিতে হলেও আমাদের দেশে ভুট্টা আবাদের এলাকা ও উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে আমাদের গম উৎপাদন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। আমাদের ভুট্টা উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে হবে, কারণ এখনও আমাদের ৩০ লাখ টন ভুট্টা আমদানি করতে হয়। দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারে এ পুষ্টিমান সম্পন্ন ভুট্টার বেশ চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভুট্টার গুরুত্ব অপরিসীম।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দেশের আবহাওয়া উপযোগী স্বল্পসময়ে গম ও ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিমিটের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।' খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপন ও কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সিমিটের সহায়তা চান মন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বর্তমানে খাদ্য হিসেবে ভাতের ওপর নির্ভরতা কমে যাচ্ছে। গম এবং ভুট্টাজাত খাবার ফাস্টফুড হিসেব গ্রহণ করছে। ফলে গম ভুট্টার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে।' মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সামিটের কয়েকজন প্রতিদিন উপস্থিত ছিলেন।