চট্টগ্রামে শিশুপার্ক উচ্ছেদ করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত পুরনো সার্কিট হাউসে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি নীল নকশার শিশুপার্ক উচ্ছেদ করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা। এ দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার মো. শহীদুল হক চৌধুরী ছৈয়দ, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ। তারা বলেন, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চাপা দিতে একটি পবিত্র ভূমিতে সুপরিকল্পিতভাবে শিশুপার্কটি গড়ে তুলেছিল বিএনপি। ৬৫ লাখ নগরবাসীর জন্য ৭১ ফুট উঁচু স্মৃতিসৌধ নির্মাণের এটিই উপযুক্ত জায়গা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি। তিনি বলেন, একাত্তরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস ছিল পাকিস্তানি সেনাদের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ও নির্যাতনকেন্দ্র। সার্কিট হাউসের বিশেষ কয়েকটি কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করা হতো। ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে শক দিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো মুক্তিকামী বাঙালিদের। নির্যাতনের পর অনেক বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। দোতলার দুইটি কক্ষে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো। আরেকটি কক্ষে রাতভর ধর্ষণ ও নির্যাতন করত পাক সেনা কর্মকর্তারা। 'কোনো নারী গর্ভবতী হলে তাকে হত্যা করে একটি কূপে ফেলে দেয়া হতো। এখানকার একটি গর্তে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার খুলি পাওয়া যায়। রয়েছে স্বাধীন বাংলা বিপস্নবী বেতার কেন্দ্রের দুর্লভ সরঞ্জামাদি। বঙ্গবন্ধু এলে এ সার্কিট হাউসে থাকতেন। তার স্মৃতিবিজড়িত কক্ষ ও আসবাব রয়েছে। চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পর প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়েছে এ সার্কিট হাউসে।' সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে জাদুঘরে জিয়ার নাম পুনঃস্থাপনে দেয়া বিএনপির আলটিমেটামকে চট্টগ্রামবাসীর চাহিদার বিপরীত উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে ভয় পাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপি যেখানে কর্মসূচি দেবে তা প্রতিহত করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সাধন কুমার বিশ্বাস, আবুল কালাম, আহমদ মিয়া, আবদুল মান্নান খান, রফিকুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার মিয়া, মো. ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক দেব প্রসাদ দাশ দেবু, শরফুদ্দিন আহমদ চৌধুরী রাজু, কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, মিজানুর রহমান সজিব, কামরুল হুদা পাভেল, মো. সাজ্জাত হোসেন, আশরাফুল হক চৌধুরী, হাসান মো. আবু হান্নান প্রমুখ।