লাভার্ ধ্বংস দেখছেন না নগরবাসী সফলতার দাবি ডিএসসিসির

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মশার লাভার্
রাজধানীবাসীর জন্য ডেঙ্গুরোগ পরিচিত হলে চিকুনগুনিয়া খুব বেশি জানা-শোনা ছিল না। তবে গত বছর রাজধানীবাসীকে যেভাবে চিকুনগুনিয়া ভুগিয়েছে, এতে সহজেই ভোলার কথা নয়। এ নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র কাহিল অবস্থায় পড়ে যান। সমালোচনাও কম হয়নি। তাই তো এবার আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গত ২৫ জুন ধানমÐির সাতমসজিদ এলাকায় পক্ষকালব্যাপী বিশেষ কমর্সূচির উদ্বোধন করেন মেয়র। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়রের ঘোষণা ছিল ডিএসসিসি অধিভুক্ত ৫৭টি ওয়াডের্র প্রতি ওয়াডের্ কমপক্ষে ১০০টি বাড়িতে বিশেষ এই অভিযান চালানো হবে। শতর্ ছিল যদি বাসার মালিক অনুমতি দেন, তাহলেই কেবল সেই বাসায় ঢুকে ডেঙ্গুর জীবাণু ধ্বংস করে দেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের শিখিয়ে দেবে কীভাবে সেটা ধ্বংস করতে হয়। গত ২৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই পযর্ন্ত এই ২০ দিনে আদৌ কোনো এলাকায় অভিযান হয়েছে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দিহান নগরবাসী। ডিএসসিসি এলাকার অন্তত পঁাচজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিএসসিসির মশার জীবাণু ধ্বংসকারী টিম তো দূরের কথা, ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোই চোখে পড়েনি। ৪৮-এর ওয়েস্ট ধানমÐি এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার কাজী শামসুল হকের স্ত্রী মিসেস ফেরদৌসী বলেন ‘আমার চোখে অন্তত পড়েনি যে, কেউ মশার ওষুধ ছিটিয়েছেন। কাউকেও দেখিনি।’ খিলগঁাও সিপাইবাগ এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ডেঙ্গুর জীবাণু ধ্বংসের কাযর্ক্রম গত দুই মাসেও চোখে পড়েনি। তবে শুনেছি, শিগগিরই কাযর্ক্রম শুরু করবে। আসলে করবে কিনা, কে জানে? গোপীবাগ ফোথর্ লেন গলির সেবিকা দেবনাথ বলেন, আমাদের এলাকায় মশার উপদ্রব অনেক বেশি। মাঝে-মধ্যে সিটি করপোরেশনের লোককে ফগার মেশিন নিয়ে ঘুরতে দেখি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয় বলে মনে হয় না। কেননা, ফগিং করার পরই আবার একই অবস্থা। আসলে মেশিনে ওষুধ থাকে কিনা, সেটাই কে বলবে। গত ২৫ জুন পক্ষকালব্যাপী কমর্সূচি ঘোষণার সময় মেয়র বলেছিলেন, আমাদের টিম বাড়ির মালিকের অনুমতি নিয়ে বাসায় বাসায় যাবেন। যে বাড়িতে এডিশ মশার লাভার্ বা প্রজননক্ষেত্র পাওয়া যাবে, সেটা ধ্বংস করে দিয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসবেন।