সংসদে দশর্নাথীর্ ও আয় দুটোই বেড়েছে

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
গত বছর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মোট সাত হাজার ৫৮০ সদস্য লুই আই কানের অনন্য স্থাপত্যকলা জাতীয় সংসদ ভবন পরিদশর্ন করেছেন। চলমান সংসদ অধিবেশন সরাসরি পযের্বক্ষণের পাশাপাশি এর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কাযর্ক্রম সম্পকের্ তাদের সম্যক ধারণাও দেয়া হয়। জাতীয় সংসদের ভিজিট শাখা সূত্রে জানা যায়, গেল বছর (২০১৭ সাল) দেশি-বিদেশি সাত হাজার ৫৮০ জন দশর্নাথীর্ সংসদ ভবন পরিদশর্ন করেন। ওই বছর বিদেশি দশর্নাথীের্দর কাছ থেকে ফি বাবদ আয় হয় তিন লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা। সংসদের বিভিন্ন দশর্নীয় ও মনোমুগ্ধকর স্থান এবং কক্ষ ভাড়া দিয়ে আয় হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এসব টাকা পরবতীের্ত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে দেশি-বিদেশি পঁাচ হাজার ৬৭৩ জন দশর্নাথীর্ সংসদ ভবন পরিদশের্ন আসেন। তাদের কাছ থেকে আয় হয় দুই লাখ ৯০ হাজার ১০০ টাকা। সংসদ ভবনের শপথ কক্ষ এবং মন্ত্রি হোস্টেলের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষ, সংসদীয় বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে আয় হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে আসা দশর্নাথীর্ এবং আয় দুটোই বেড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ইন্টার পালাের্মন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পালাের্মন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) মতো এমপিদের বৃহৎ দুটি সংগঠনের নেতৃত্বে ছিল বাংলাদেশ। এজন্য আমাদের সংসদ সম্পকের্ সবার আগ্রহ রয়েছে। অনেকে নারী নেতৃত্বের ধারণা নিতেও সংসদে আসেন। এজন্য দিন দিন সংসদে দশর্নাথীর্র সংখ্যা বাড়ছে। জানা যায়, এমপি-মন্ত্রী কিংবা সংসদের কমর্কতার্-কমর্চারীদের সঙ্গে দেখা করতে হলে কোনো ভিজিট ফি দিতে হয় না। এ ধরনের দশর্নাথীর্রা সংসদে যার সঙ্গে দেখা করবেন তার সুপারিশ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন। তবে তারা সব জায়গায় যেতে পারেন না। তবে সংসদের ভিজিট শাখাকে অবহিত করে পরিদশের্নর কমপক্ষে তিনদিন আগে যারা ভবন পরিদশের্নর আবেদন করেন তারা পরিকল্পিত ভিজিটের আওতায় পড়েন। বাংলাদেশি দশর্নাথীের্দর জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। বিদেশিদের ক্ষেত্রে ১০ ইউএস ডলার কিংবা সমপরিমাণ টাকা। প্রথম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষাথীের্দর ক্ষেত্রে প্রবেশ ফি লাগে না। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভিজিটের আওতাভুক্ত হতে হয়। তারা মিনিস্টার হোস্টেল, দক্ষিণ প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজার ওপর দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ (লেভেল-৩), লেভেল-৩ প্রদক্ষিণ, চেম্বার অ্যাসেম্বলি হাউস, নথর্ প্লাজা, মসজিদ, এসআইএস রুম, কমিটি কক্ষ (যেখানে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়), শপথ কক্ষ (এমপিরা যেখানে শপথ নেন), গ্রন্থাগার, প্রধান ফটক (লেভেল-১) দিয়ে বের হয়ে ১/১ মিনিস্টার হোস্টেল দেখার সুযোগ পান। এ বিষয়ে সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ায় জাতীয় সংসদে দশর্নাথীর্র সংখ্যা বাড়ছে।