ফারাক্কা খুললে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ফারাক্কার গেট খুলে দিলে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। শুক্রবার সকালে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু উপলক্ষে মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে শনিবার (১৬ মার্চ) চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'কোন জাল ফেলব না, জাটকা ইলিশ ধরব না'। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে ইলিশ ভারতে চলে যাবে তখন দেশের ইলিশ কমবে কিনা- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফারাক্কা খুলে দিলে ইলিশের জন্য আরও অগ্রগতি হবে। তখন ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে। কারণ নদীতে পানির প্রবাহ বেশি থাকবে। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে আমরা পানি চাই। আগে ইলিশ হতো ১০ জেলায়। এবার ইলিশ উৎপাদন হবে ৩০ জেলায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মৎস্য সেক্টরে একক প্রজাতি হিসেবে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই নবায়নযোগ্য মৎস্য সম্পদ, কেননা দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ ভাগই ইলিশ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান প্রায় একভাগ। উপকূলীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রায় পাঁচ দশমিক শূন্য লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি জড়িত। জাটকা রক্ষায় নভেম্বর-জুন পর্যন্ত নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা যাতে ক্ষুধায় কষ্ট না পায় সে জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। নির্বিচারে জাটকা নিধন বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি নভেম্বর-জুন পর্যন্ত মৎস্য সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মা ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২ দিন প্রজনন এলাকাসহ সমগ্র দেশে ইলিশ আহরণ, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলছে।