চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী

আস্থার সংকট দূর হলে বীমা খাত ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শুক্রবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -যাযাদি
বীমা দাবি পরিশোধে হয়রানি করায় আস্থাহীনতা তৈরি হয় মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দু-তিনটি প্রতিষ্ঠানের কারণে বীমা খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আস্থার সংকট দূর করা গেলে বীমা খাত ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। অনেক সূচকে ভারতের চেয়ে আমরা এগিয়ে। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে তৃতীয় বীমা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেট হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বাজেটের ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চট্টগ্রামে বীমা মেলা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়িচালকের বীমা করা দরকার। বীমা কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্পখাত কৃষিখাতকে ছাড়িয়ে গেছে। কারখানার জন্য বীমা হয়, শ্রমিকের জন্য গ্রম্নপ বীমা হয় না। আহত, অঙ্গহানি ও নিহত হলে দানশীল বা মালিকদের বদান্যতার ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই শ্রমিকদের বীমার আওতায় আনতে হবে। বীমা নিয়ে মানুষের সংশয় দূর করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বীমা কিছু কোম্পানি চালু করেছে। তবে তা সীমিত। ইউরোপে শতভাগ মানুষের স্বাস্থ্য বীমা আছে। আমাদের দেশের মানুষ চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হয়। সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড সীমিত। বেসরকারি ক্লিনিকে লাখ লাখ টাকা বিল আসে। তাই স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে। সম্পদের বীমা না করার প্রবণতার কারণে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেলে ক্ষতিপূরণ পায় না। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা আফরোজ ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ঢাকা ও সিলেটের পর এবার চট্টগ্রামে বীমা মেলা হচ্ছে। আমাদের মিশন ও ভিশন বীমা খাতে আস্থার সংকট দূর করা। আমরা অভিযোগ সেল করেছি। রেলওয়ে বীমা ও প্রবাসী বীমা চালুর উদ্যোগ নেব। তাহলে জিডিপিতে বড় অবদান রাখবে বীমা খাত। আমরা আশাবাদী। স্বাগত বক্তব্যে বীমা মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি গকুল চাঁদ দাস বলেন, দুই দিনের বীমা মেলা হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। উন্নত দেশের মানুষের তুলনায় বীমা খাতে আমরা পিছিয়ে। তাই মানুষকে সচেতন করতে এ মেলা ভূমিকা রাখবে। ফিতা কেটে, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। বীমা দাবির তিনটি চেক বিতরণ করেন তিনি। স্বপন দাশের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্রের শিশুশিল্পীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী আয়েশা হক শিমু।