বেসিস এক্সপো'র দ্বিতীয় দিনে 'জাপান ডে'

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার সফটএক্সপো'র দ্বিতীয় দিনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অন্য অতিথিরা -যাযাদি
১৫তম বাংলাদেশ সফটওয়ার ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সফটএক্সপো'র দ্বিতীয় দিনে 'জাপান ডে' হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ তৈরি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরতে এ আয়োজন করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সব থেকে বড় সংগঠন বেসিস। বুধবার এক্সপো'র দ্বিতীয় দিনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) টেন্ট-১ এ 'জাপান ডে'র বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি সেমিনার, একটি জব সেশন ও একটি বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন আয়োজিত হয়। এসব সেমিনারের মধ্যে জাপানের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য বিষয়ক 'বিজনেস উইথ জাপান' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কাজী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ডাটা সফটের প্রধান নির্বাহী মাহবুব জামানসহ বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহু পুরনো এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা বরাবরই ইতিবাচক। সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং এর ফলাফলও ইতিবাচক। সম্প্রতি জাপানকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সহায়তা দেয়া এবং দেশের সম্ভাবনা বিবেচনায় সরকার জাপানকে ৪শ হেক্টর জমি দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়াও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রসারেও জাপান বাজার বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৫ বছরে এ সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলে আমি মনে করি। এ সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প যেমন- জাইকার সহায়তায় মেট্রোরেল, কয়লা বিদু্যৎ কেন্দ্র, পোর্ট, বিভিন্ন ইনফ্রাস্টাকচার, রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপিতে রিলায়েবল পাওয়ারের ব্যবহার উলেস্নখ করে বক্তারা বলেন, জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে। বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বেসিস সফটএক্সপো'র আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান বলেন, আমাদের তরুণ-তরুণীদের জন্য জাপানে কাজের বিশাল এক সম্ভাবনা আছে। সেদিকটাই বিবেচনায় রেখেই মেলার দ্বিতীয় দিনে 'জাপান ডে' হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেই আমরা। এখানে জাপানের প্রায় ১৬টি প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। তারা এখানকার সম্ভাব্য তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও কর্পোরেট গ্রাহকদের সঙ্গে বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশনেও অংশ নেবেন। জাপানে বাংলাদেশি তরুণদের ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল সুযোগ সম্পর্কে ফারহানা এ রহমান বলেন, সামনে আসছে শিল্প বিপস্নব ৪ দশমিক। কিন্তু এই বিপস্নব মোকাবেলায় জাপানের জনবল সংকট আছে। তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৪০-৫০ উর্ধ্বে। সেখানে আমাদের দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ জনগণের গড় বয়স ৩৫ এর নিচে। জাপানের ফুজিতসু প্রতিষ্ঠানের করা এক গবেষণা অনুযায়ী, দেশটির এই জনবল সংকট পূরণের জন্য যোগ্য দেশের তালিকায় তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তাদেরও আমাদের জনবলের প্রতি আগ্রহ আছে। কিন্তু এখানে সব থেকে বড় বাধাটা হচ্ছে ভাষা। ওরা আইটিইই নামে একটি পরীক্ষা নেয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আমাদের দেশ থেকে দক্ষ জনবল সেখানে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত এই পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার যথেষ্ট সন্তোষজনক। জাপানের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা আমাদের জানিয়েছেন যে, আমাদের তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিলে তারা সেখান ভালো কাজ করে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বেসিস কার্যালয়ে 'জাপান ডেস্ক' চালু করা হবে বলেও জানান ফারহানা এ রহমান।