ভল্টের সোনায় কী হয়েছে দেখা হবে: অথর্প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
এম এ মান্নান
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রক্ষিত সোনা বদলে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সরকার তা ‘আইনানুগভাবে’ খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন অথর্ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। ওই সোনা নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ফজলে কবিরের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অথর্ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আথির্ক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলামও সচিবালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অথর্প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারি, সেখানে আসলে কী হয়েছে, তা দেখা হবে।’ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় দৈনিকে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনে ভল্টের সোনা নিয়ে অভিযোগটি সামনে আসে। ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাÐ’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। জমা দেয়ার সময় যা ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, দুই বছর পর তা পরীক্ষা করে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সোনা পাওয়া গেছে। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঙ্গলবার বলেন, এক বছরের বেশি সময় অনুসন্ধান করে তারা ওই অনিয়ম পেয়েছেন। বিষয়টি এনবিআরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে, যাতে তারা অনিয়মে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক রবিউল হোসেন এবং ভল্টের দায়িত্বে থাকা কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী দাবি করেন, ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনো ধরনের হেরফের হয়নি; শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ যেভাবে রেখেছিল, সেভাবেই আছে। আওলাদ বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদের সোনা দেয়ার সময় তা ২২ ক্যারেট বললেও আমরা পরিমাপ করে পাই ১৮ ক্যারেট। আমাদের তালিকাভুক্ত স্বণর্কার কষ্টিপাথর দিয়ে সোনার মান যাচাই করেছেন। সেই সনদ অনুযায়ী সোনা ছিল ১৮ ক্যারেটের।’ আওলাদ বলছেন, ক্যারেটের ওই গরমিলের বিষয়টি তারা চিঠি দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে জানিয়েছিলেন। সেখানে আণবিক শক্তি কমিশনের মতো তৃতীয় কোনো পক্ষকে দিয়ে ওই সোনার মান যাচাই করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তখন বিষয়টি ‘মেনে নিয়েছিল’। আর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেয়া সোনা জমা রাখার সময় খঁাটি সোনা ৪০ শতাংশই ছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ইংরেজি বাংলার হেরফেরে সেটা ৮০ শতাংশ লিখে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত শখ জুয়েলাসের্র স্বণর্কার এই ভুলটি করেছিলেন।’