দেশে প্রতি বছর যক্ষ্ণায় আক্রান্ত লাখে ২২১ জন

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে প্রতি বছর লাখে ২২১ জন মানুষ যক্ষ্ণায় আক্রান্ত হয় বলে গেস্নাবাল টিবি রিপোর্টের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাক। এই রোগ নির্মূলে জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক জিন-এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা ও ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি। শনিবার সকালে বিশ্ব যক্ষ্ণা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞা হলে (ভিআইপি লাউঞ্জ) ব্র্যাক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অং কাই জাই মগ, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন ডিজিজেস কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. আকরামুল ইসলাম, সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত, আইসিডিডিআর বি'র প্রতিনিধি ডা. সায়রা বানুসহ আরও অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের গেস্নাবাল টিবি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখে ২২১ জন নতুন করে যক্ষ্ণায় আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৬ জন মারা যায়। তাই এই রোগ নির্মূলে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক জিন-এক্সপার্র্ট মেশিনের সংখ্যা ও এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। জাতীয় যক্ষ্ণা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্ণারোগী আছে। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্ণারোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩৫২ জন। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের জাতীয় যক্ষ্ণা নিযন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্ণা রোগ নির্মূল সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সরকার যক্ষ্ণা রোগীর মৃতু্যর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় যক্ষ্ণা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে যক্ষ্ণা সম্পর্কে তথ্যচিত্র তুলে ধরে এখন পর্যন্ত দেশে রোগটি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে তার একটি সচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয়। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের কথাও সেখানে জানানো হয়। এছাড়া রোগ নির্ণয়ে দেশি বিদেশি সহযোগিতার কথাও বলা হয়। প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক্স যক্ষ্ণা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবাকোলসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্ণারোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ, জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও এ রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডাবিস্নউএইচও ও আইইউএলটিএডি প্রথম যক্ষ্ণা দিবস উদযাপন করে। এরপর থেকে প্রতি বছর ২৪ মার্চ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এদিকে বিশ্ব যক্ষ্ণা দিবস উপলক্ষে 'এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্ণা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার' শীর্ষক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সরকারের জাতীয় যক্ষ্ণা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, ব্র্যাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থাসমূহ এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর শাহবাগে সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে।