হজ এজেন্সিতে দুদকের পঞ্চম দফা অভিযান

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় -যাযাদি
হজযাত্রী হয়রানি, অনিয়ম, প্রতারণা ও মানবপাচার বন্ধে হজ এজেন্সিগুলোতে চলতি মাসে পঞ্চম দফা অভিযান চালিয়েছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনে আসা (১০৬) এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক শেখ ফানাফিল্যা এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি টিম রাজধানীর নয়াপল্টনে হজ এজেন্সিগুলোতে অভিযান চালায়। এ সময় দুদক টিম কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে সরেজমিন অভিযানে দেখতে পায়, ওই হজ এজেন্সির কাছে প্রকৃত হাজির সংখ্যার সমথের্ন কোনো কাগজপত্র নেই। নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক হজ এজেন্সির কমপক্ষে ১৫০ জন যাত্রী প্রেরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও উল্লিখিত হজ এজেন্সি মাত্র ৭৫ হজ হাজিকে পাঠিয়েছে বলে দুদকের কাছে স্বীকার করে। এছাড়াও সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়িভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রসিদপত্র দেখাতে পারেনি এজেন্সিটি। দুদক টিম একই টাওয়ারে অবস্থিত কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর কাগজপত্র পরীক্ষায় দেখতে পায়, উল্লিখিত হজ এজেন্সি গত বছরের অডিটে ৪ লক্ষাধিক টাকার কর ফঁাকি দিয়েছে। এত বড় অঙ্কের রাজস্ব ফঁাকির ঘটনার পরও কীভাবে এ এজেন্সি অনুমোদন পেল, তা দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে দুদক টিম। এ বিষয়ে টিমের পূণার্ঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ জাতীয় অনিয়ম প্রতিরোধে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার কাছে দুনীির্তবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইন (১০৬)-এর স্টিকার বিতরণ করা হয়। এর আগে ২, ৪, ৯ এবং ১৫ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক। অভিযান প্রসঙ্গে এনফোসের্মন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের লক্ষ্য, হজকেন্দ্র্রিক দুনীির্তর সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া এবং ব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের দুনীির্তর বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।