গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকারীরা গণবিরোধী: মকসুদ

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ -যাযাদি
গ্যাসের দাম বাড়ানোর তৎপরতাকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, মানুষ যখন অনৈতিক কাজ করে তখন বিচার করা হয়, কিন্তু রাষ্ট্র যখন অনৈতিক কাজ করে তখন বিচার হয় না। সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে ১৬ কোটি মানুষকে শুধু জেলে নিচ্ছে না, জরিমানাও করছে। শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ অটোরিকশা-অটোটেম্পো পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই যেসব কমিশন গঠন হয় তারা গণশুনানিতে জনগণের মতামত নেন এবং জনগণের সেই মতামত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু আমাদের দেশে এসব কমিশনে যারা বসেন তারা ভোক্তাদের বা নাগরিক পক্ষের কথা শুনতে পান না। তারা কানে তুলা দিয়ে বসেন, শুনানি হলো কান দিয়ে শোনা কিন্তু তারা বধির। গ্যাসের দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষ চরম বিপদে পড়বে মন্তব্য করে আবুল মকসুদ বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমরা আদালতে গেছি, কিন্তু আদালত বলেছেন, গ্যাস সেক্টরে অর্ধেক দুর্নীতিও যদি কমানো যায় তাহলে গ্যাসের দাম বাড়ানো লাগবে না। সরকার জনগণকে নয়, দুর্নীতিবাজদের ভয় পায়। দুনিয়ার মেহনতি মানুষ যদি এক হয়, তাহলে কোনো একদিন রাষ্ট্রকে শায়েস্তা করতে না পারলেও দুর্নীতিবাজদের শায়েস্তা করতে পারবে। সংগঠনের সহ-সভাপতি শিকদার বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, এমএ রনি প্রমুখ। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য সংরক্ষণ করে রাখুন। একদিন সেই তথ্য কাজ দেবে। কিন্তু এখন এমন এক মুহূর্ত, ভয়ানক অবস্থা- মানুষ প্রতিবাদও করতে ভয় পাচ্ছে। তবে একদিন গণবিস্ফোরণ হবে, তখন এ দুর্নীতিবাজদের বিচার হবে। তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসে ৬ শতাংশ দুর্নীতিতে মাসে ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়। এই দুর্নীতি যদি কমানো যেত তাহলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না।