খাল দখল করে গড়া সব বিল্ডিং ভেঙে দেবে ডিএনসিসি

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মিরপুরের কালশী এলাকার খাল পরিষ্কার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম -যাযাদি
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাউনিয়া খালের সঙ্গে আরেকটি ড্রেন যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খাল দখল করে বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। ডিএনসিসির জায়গায় অবৈধ যা কিছুই থাকুক না কেন, তা ভেঙে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার মিরপুরের কালশী এলাকার খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, ওয়াসার খাল আমরা পরিষ্কার করছি। খালের ওপর গড়ে ওঠা বহুতল ভবনগুলো ভাঙতে না পারলে স্থায়ী সমাধান হবে না। জলাবদ্ধতার কারণে এখানকার জনগণ দুর্ভোগে আছে, সমস্যায় আছে। খাল দখলকারী কয়েকজনের জন্য এ এলাকার সব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। খালের ওপর গড়ে তোলা বিল্ডিং প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কথা বলে ভেঙে দেয়া হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, এখানে বাইশটেকি ও বাউনিয়া খাল রয়েছে। বাইশটেকি খাল মদিনা নগরে গিয়ে ৩০ ফুটের জায়গায় দুই ফুট হয়ে গেছে। খালের ওপর বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। আমরা যতটুক পারি, আমাদের যন্ত্র দিয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার করে দেব। ডিএনসিসির অধীনে অবৈধ যা কিছু থাকবে, তা ভেঙে দেব। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাইশটেকি খালের সঙ্গে পূর্ব দিক দিয়ে আরেকটি ড্রেন নিয়ে দক্ষিণে বাউনিয়াতে সংযুক্ত করে দেয়া হবে। কালশী এলাকার বাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা কীভাবে খালটিকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছেন? কীভাবে আপনারা খালপাড়ে বাড়ি করেন? আপনারা আমাদের দোষ দিচ্ছেন। এসব দখলদারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডর আবদুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উলস্নাহ, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।