বাড়তি নজরদারি

বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ঘিরের্ যাবের বিশেষ নিরাপত্তা

র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'নববর্ষের বড় বড় ভেনু্যতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে এবং সবগুলো সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবের্।'যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'নববর্ষের বড় বড় ভেনু্যতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে এবং সবগুলো সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে।'

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের নানা উৎসব ও আয়োজন ঘিরের্ যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। রমনা বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডিসহ সব উৎসবস্থলেই থাকছে বাড়তি নজরদারি। শুক্রবার রমনা বটমূল ঘিরের্ যাবের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানানর্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নববর্ষের বড় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকানোর জন্যর্ যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 'আমরা ইতোমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি, যা অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। শুক্রবার থেকেই বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়র্ যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে।' জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নববর্ষের বড় বড় ভেনু্যতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে। রাজধানীতে যত ভেনু্য আছে, সবগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। রমনা বটমূলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ভেনু্যতে ডগ স্কোয়ার্ডসহ বোম ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করবে। সার্বিক দিক দিয়ে রাজধানীতে যত ভেনু্য রয়েছে, সেগুলো নিরাপদ রাখার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। 'বড় ভেনু্যগুলোর সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য আমরা কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি। বড় ভেনু্যতে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ মেডিকেল টিম থাকবে, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।' র্ যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় নববর্ষের বিশেষ প্রোগ্রাম হচ্ছে, সেখানের্ যাবের ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে ও পোশাকে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানে উপস্থিত থাকবে। পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো হুমকির খবর আমাদের কাছে নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানীতের্ যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের অধিকাংশ কর্মকর্তারাই নববর্ষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এদিকে, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কেন্দ্রস্থল রমনা বটমূলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছের্ যাব-৩। র্ যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বলেন, নববর্ষের আয়োজন ঘিরে রমনাসহ ঢাবি এলাকায় কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে আমরা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ক্যাম্পের সহযোগিতা নিয়েছি। তিনি বলেন, নববর্ষ নির্বিঘ্নে উদযাপনে রমনায় স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স এবং ইভ টিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছেন। এছাড়াও টহল, ফুট পেট্রোল, ওয়াচ টাওয়ার, মোটরসাইকেল পেট্রোলের ব্যবস্থা থাকছে। এমরানুল হাসান জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি রমনা বটমূলের পাশে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের বিশ্রামের জন্য বৈশাখী লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ক্লান্ত বয়স্কদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।