মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন -ফোকাস বাংলা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে বুধবার। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারা দেশের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পক্ষ থেকেও পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম বাগানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। এরপর থেকে বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত। আর দিনটি পালন করা হয় মুজিবনগর দিবস হিসেবে। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভু্যদয় ঘটে। ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর শুরু হয় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ। এরপর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয় সেই ঘোষণাপত্রে। ঘোষণাপত্রে দেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমেদ সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ জাতির উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন, যা আকাশবাণী থেকে প্রচার করা হয়। দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। এরপর ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরদিন এ খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকা এবং সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়।