আজ আবার কর্মসূচি

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরোধ

শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আরও বেশি সেশনজটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও তারা ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে পারছে না

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে মঙ্গলবার ৫ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন -যাযাদি
ত্রম্নটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে সাড়ে চার ঘণ্টা অবরোধের পর সড়ক থেকে উঠে গেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার এ অবরোধ করেন। আজ বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ফের পালন করবেন বলে জানা গেছে। সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা উঠে যান। আজ ১১টায় আবার এখানে এসে তাঁরা অবরোধ করবেন বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকাকালে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। হঠাৎ করে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর তারা ভেবেছিলেন সেশনজট কমবে। একই সঙ্গে শিক্ষার মানও বাড়বে। এর কিছুই হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আরও বেশি সেশনজটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও তারা ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে পারছে না। ত্রম্নটিযুক্ত ফলাফল তারা প্রকাশ করছে। এসবের সমাধান চান তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর আগেও তাদের অনেক আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এর কোনো বাস্তবায়ন তারা দেখেননি। তার অফিসে গিয়েও অনেকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, এতে কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, 'আমাদের অধীনে পরিচালিত যেসব সেশন শুরু হয়েছে, এতে কোনো জট নেই। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালে যেসব সেশন আমাদের অধীনে দেয়া হয়েছে, লোকবল কম থাকায় তা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অচিরেই তা কেটে যাবে।' অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, 'ছাত্ররা না বুঝে আন্দোলন করলেই হবে না, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।' শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রম্নটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ। গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনর্মূল্যায়ন। সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন। প্রতিটি বিভাগে মাসে দু'দিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া এবং সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু।