আপাতত আন্দোলন স্থগিত

নীলক্ষেতে ফের অবরোধ ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর ৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেন সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে বুধবার ৫ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন -যাযাদি
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের আশ্বাসে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছেন সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে নীলক্ষেতে যান ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। এ আশ্বাসে টানা দু'দিন ধরে চলা আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বেলা ৩টার দিকে ঢাবি প্রক্টর ও ভিসির সঙ্গে কথা বলেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত করলেও আজ সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থানের পর ফের অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে তারা সরে গিয়েছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত থেকেই চলমান সব সমস্যার সমাধান চান তারা। অবস্থান কমসূচিতে অংশ নেয়া মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা অধিভুক্তি বাতিল নয়, আমরা আমাদের চলমান সমস্যার সমাধান চাই। কারণ এখন অধিভুক্তি বাতিল করলে আমি মনে করি এ সমস্যা আরও বাড়বে।' ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বষের শিক্ষার্থী জাকিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের মনে হয়েছে অধিভুক্ত হওয়ার পর ওরা আমাদের মেধাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি বা করা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা অধিভুক্ত বাতিল চাই না, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে দেয়া হবে। ওনার মতামতের ওপর কথা আমরা অবশ্যই বলব না। আমরা অধিভুক্তই থাকতে চাচ্ছি কিন্তু আমরা চাই আমাদের মেধাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হোক। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের জন্য একটা আলাদা প্রশাসনিক ভবন করা হোক যেখানে আমরা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে সহজে কাজ করতে পারি। একই কথা বললেন ঢাকা কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজীবুর রহমান। আমরা অধিভুক্ত বাতিল চাই না। কিন্তু এই অধিভুক্তির ফলে প্রতিবছর যে সেশনজটের মধ্যে আমরা পড়ছি, এই সমস্যা সামনে যাতে না হয় এজন্য আমরা প্রশাসনের সহায়তা চাচ্ছি। আমরা যে সেশনজটের শিকার হয়েছি শুধু অধিভুক্ত বাতিল করলেই তো এখন আর সেই সময়গুলো আমরা ফিরে পাব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ। ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃমূল্যায়ন। সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন। প্রতি মাসে প্রত্যেকটি বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। সেশনজট নিরসনের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা।