ম্যাজিস্ট্রেট দেখে রসমালাই ডাস্টবিনে ফেলল মধুবন

প্রকাশ | ১৭ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অভিযানে জব্দকৃত রসমালাই -যাযাদি
মেয়াদহীন রসমালাই ও গাজরের হালুয়ায় ভর্তি ছিল চট্টগ্রামের মিষ্টির দোকান মধুবনের ফ্রিজ। বিক্রয়কর্মীরা মেয়াদের স্টিকার লাগিয়ে ফ্রিজের এসব রসমালাই এবং গাজরের হালুয়াই বিক্রি করছিলেন ক্রেতাদের কাছে। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে মেয়াদহীন এসব খাবার দ্রম্নত ডাস্টবিনে ফেললেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের। ভ্রাম্যমাণ আদালতে গুনতে হয়েছে জরিমানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটহাজারীর ইছাপুর বাজারে মধুবনের বিক্রয় কেন্দ্রে ভেজালবিরোধী এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন। মো. রুহুল আমিন বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ইছাপুর বাজারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে ফ্রিজভর্তি প্রায় ২০ কেজি মেয়াদহীন রসমালাই ও গাজরের হালুয়া পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দেয় মিষ্টির দোকান মধুবনের বিক্রয়কর্মীরা। আদালতের নির্দেশে এসব খাবার জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মধুবনের ম্যানেজার জানিয়েছেন- মেয়াদহীন এসব রসমালাই ও গাজরের হালুয়া বিক্রির সময়েই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের আলগা স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করেন তারা! এ সময় সেখান থেকে বেশ কিছু আলগা স্টিকারও জব্দ করা হয়। ক্রেতা ঠকিয়ে মেয়াদহীন খাবার বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে ইছাপুর বাজারের নুরজাহান বেকারিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফ্রিজে ৭ দিন আগের বাসি মিষ্টি সংরক্ষণের দায়ে বেকারি মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।