চট্টগ্রামে ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রাম নগরীর একটি ফলের দোকান -ফাইল ছবি
রমজানে ফলের বাড়তি চাহিদা থাকায় দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে ক্রেতার পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও আছেন বেকায়দায়। চট্টগ্রাম নগরে ফলের পাইকারি আড়ত বিআরটিসি ফলমন্ডিতে প্রতিদিনই মৌসুমি ফলের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। কাজীর দেউড়ী ফল মার্কেটে রোববার গোবিন্দভোগ আম কেজি ১শ' টাকা, স্থানীয় লিচু ১শ'টি ৩৭০ টাকা, মাল্টা প্রতি কেজি ১৮০, আনার ২২০, আপেল ২শ', পিয়ার্স ২৬০, পেঁপে (কেজি) ১২০, বাংলা কলা প্রতি ডজন ১২০, সাগর কলা প্রতি ডজন ৮০, লালচে আঙ্গুর কেজি ৪শ', সাদা (হালকা সবুজ) আঙ্গুর ২শ', কালো তরমুজ ১২০, মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮শ', তিউনিসিয়া জাতের প্রতি কেজি খেজুর ৫শ', সুপ্রি-ডেসটিনি ও ফরিদা খেজুর ৩শ', সায়ার ২শ', জাহেদি ২৫০ ও সামের জাতের খেজুর ২শ' টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেড়েছে আনারস, পেয়ারা, বেল, ডাব, নাশপাতির দামও। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত ফলের দাম পাইকারি বাজারে বাড়লে খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ে বলে জানান ফল ব্যবসায়ী আশীষ দাশ। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কার্টন (১৪ কেজি) মাল্টা কিনেছি ২৪শ' টাকায়। এখন কিনতে হচ্ছে ২৬শ' টাকায়। প্রতি কার্টন ২৫শ' টাকায় কেনা নাশপাতি কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। আড়তদাররা কারসাজি করে প্রতিদিন দাম বাড়াচ্ছে। ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে ১৮ কেজির প্রতি কার্টন আপেল ৩ হাজার থেকে ৩২শ' টাকা, মাল্টা ১৫ কেজির প্রতি কার্টন ১৮শ' থেকে ১৯শ' টাকায় বিক্রি হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। এখন দাম একটু বেড়েছে। ফল আমদানিকারকরা জানান, চীন-দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফলবাহী কনটেইনারগুলো জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর ৯২ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। এরপর এসব ফল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টন কমলা ও মাল্টা আমদানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য এক হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৩৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই অর্থবছরে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪০৩ টন আপেল আমদানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ আলমগীর জানান, লোকসান হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ফল আমদানি করছেন না। এতে বাজারে জোগান কমে গেছে। বিপরীতে রমজানে ফলের চাহিদা বেড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে দামও বাড়তি।