নদীতীরে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -যাযাদি
নদীর তীরে অপরিকল্পিতভাবে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নবম জাতীয় সংসদে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসা হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'নদীর তীরে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নির্মাণে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিৎ ছিল।' জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বেসরকারি সংস্থা নোঙর-এর আয়োজনে 'নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ ছিলেন প্রধান অতিথি। পরিবেশ বিজ্ঞানে পিএইচডি করা হাছান মাহমুদ বলেন, 'নদীগুলো হল আমাদের শিরা উপশিরার মতো। নদী শুকিয়ে গেলে দেশ বিপন্ন হবে, বিপন্ন হবে জনপদ। নদী দখলের পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ হল পানি দূষণ।' আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে অনেক সময় প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়তে হয় বিআইডবিস্নউটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের। সভায় এ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'নদী এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না। যেকোনো প্রভাবশালী, বিত্তশালী ও লোলুপ চক্রের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী দূষণকারী, প্রভাবশালী, যারা নদীকে গলা টিপে হত্যা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।' ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার ও শিপিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরিফুল ইসলাম। মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান, দেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কমে এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারে। শতকরা হিসেবে নদী পথের পরিমাণ ৮ ভাগ থেকে নেমে এসেছে এক ভাগে। নদী সুরক্ষায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌ মন্ত্রণালয়। ঢাকার আশপাশের চারটি নদী সুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনাও করেছে তারা।