চালককে সন্দেহ হলে ডোপ টেস্ট করান: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে শনিবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট মাদকাসক্ত কোনো চালক ও হেলপারের হাতে গাড়ি তুলে দেবেন না। কোনো চালক বা হেলপারকে দেখার পর যদি মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হয়, তাহলে তাকে ডোপ টেস্ট করাতে বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। শনিবার রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত 'ট্রাফিক সচেতনতা' আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাদকাসক্ত কোনো লোক গাড়ির হেলপার বা চালক হতে পারবেন না। মাদকের কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিককে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদকাসক্ত কোনো চালক বা হেলপারের হাতে গাড়ি তুলে দেবেন না। কোনো চালক বা হেলপারকে দেখার পর যদি আপনাদের মনে হয়, তিনি মাদকাসক্ত তাহলে তাকে ডোপ টেস্ট করান। এ বিষয়ে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়ে ডিএমপির কমিশনার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাড়া নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে, এর বেশি যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না। আর যদি কেউ এটি অমান্য করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। টার্মিনালগুলোতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রমজানের ১৯ দিনে রাজধানীতে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে। কারণ আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন টার্মিনালে হকারের বেশে অজ্ঞান পার্টির লোকজন ঢুকতে পারে। তাদের বিষয়ে আমরাও সতর্ক রয়েছি। কিন্তু যাত্রী এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।' ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঢাকায় প্রবেশ ও বাইরের সড়কগুলো খোলা রাখাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে কমিশনার আরও বলেন, ঈদযাত্রার সময় রাজধানীর যেসব পয়েন্ট হয়ে গাড়ি বের হয় ও প্রবেশ করে সেগুলো ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাখতে হবে। তাহলে গাড়ি খুব দ্রম্নত যাত্রী নিয়ে প্রবেশও করতে পারবে সঙ্গে বেরও হতে পারবে। এতে করে ঈদযাত্রার ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।