ওবায়দুল কাদেরের তথ্য

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চালু হবে মেট্রোরেল

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ যাত্রীদের ৩৮ মিনিটে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেল রুট-৬ এর নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে।

প্রকাশ | ৩০ মে ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ৩০ মে ২০১৯, ০০:০৭

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের আগারগাঁও সাইট অফিসে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -পিবিএ

বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে, সেই বছর ১৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের আগারগাঁও সাইট অফিসে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে এক সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। কাদের বলেন, 'মেট্রোরেলের পূর্ত কাজ শেষ হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে। আর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে সম্পূর্ণভাবে উদ্বোধন করা হবে।' উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ যাত্রীদের ৩৮ মিনিটে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেল রুট-৬ এর নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। জাপানি সহায়তায় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ শেষ করে ২০২০ সালের শেষ দিকে নগরবাসীর জন্য মেট্রোরেল উন্মুক্ত করার পরিকল্পনার কথা সে সময় জানিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। সেই সময় প্রায় এক বছর পিছিয়ে এখন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল রুট-৬ পুরোপুরি চালু হওয়ার আশার কথা বললেন তিনি। সরকার বলে আসছে, মেট্রোরেলের এই পথে প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর তাতে সড়কে চাপ আর যানজটের ভোগান্তিও কমবে। তবে কেবল এমআরটি ৬ এর নির্মাণকাজ শেষে হলেই যানজট শেষ হয়ে যাবে- এমন ভাবনা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মেট্রোরেলের ছয়টি রুটের কাজ শেষ হবে। তখন যানজটের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা যায়। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ২০ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-১ এর কাজ শিগগিরই শুরু করা যাবে জানিয়ে কাদের বলেন, 'এ রুটেই দেশের প্রথম পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে। এর খরচ হবে পদ্মা সেতু ও এমআরটি লাইন-৬ এর খরচের সমান।' মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের কারণে সাময়িক অসুবিধা 'মেনে নেয়ায়' নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাদের বলেন, এ নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তায় সেক্রিফাইস করতে হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তির জন্য সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নিতে হয়। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ দুর্ভোগ মেনে নিতে হবে, তবে একটি লাইন শুরু হলে আস্তে আস্তে ভোগান্তিও কমতে থাকবে। সিঙ্গাপুরে এসব কাজে ২৫ বছর লেগে গেছে। আমাদের দেশে ১৮ বছরে কম সময়েই হবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলের বগিতে থাকবে লাল-সবুজ রংয়ের প্রাধান্য। প্রতিটি রেলে একটি বগি নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।