আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে: মানববন্ধন

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র শ্রাবণ মিন্টুর নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রোববার কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট রাজধানীতে হানিফ পরিবহনের ধাক্কায় সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র শ্রাবণ মিন্টুর নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত ব্যানার ও পস্নাকার্ড নিয়ে অংশ নেন শতাধিক শিক্ষার্থী। চালক-হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে ঢাকাস্থ হানিফ পরিবহনের সব কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হবে। মানববন্ধনে 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহির', 'আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই' স্স্নোগান দেয়। মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- ১. অবিলম্বে জড়িত ড্রাইভার হেলপারকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২. নিহত শ্রাবন মিন্টুর পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৩. আহত সাজুর সকল চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করতে হবে এবং যদি সাজুর পা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সাজুর পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পলাশ বলেন, 'আগে আমি একজন শিক্ষার্থী তারপর রাজনীতি। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত।' সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম সাদ্দাম হোসেন কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, 'মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে হেঁটেছে। বহুদিন প্রোগ্রামে, মিছিলে একসঙ্গে জয়-বাংলার স্স্নোগান দিয়েছি। অথচ ও আজ কবরে। ও যে এখন আমাদের মাঝে নেই তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। বাসচাপায় ও মারা যায়নি। ওকে হত্যা করা হয়েছে।' বাঙলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি ইতোমধ্যেই তিনজন শিক্ষক ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে পলাশ, আলমগীর ও জাফরকে সাভার এনাম মেডিকেলে পাঠিয়েছি রোগীর খোঁজ নিতে। এনাম মেডিকেলের আই.সি.ইউ প্রধান অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। যদিও গত কালকের থেকে আজ কিছুটা ভালো। তবে ৪-৫ দিন যাওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।' নিহতের ফুফাতো ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, 'একজন প্রতিভাবান শিক্ষার্থীর এভাবে অকালে চলে যাওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা না বলে এটা হত্যার শামিল মনে করা উচিত। ইতোমধ্যেই প্রশাসন বাস ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে।' আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। উলেস্নখ্য, শুক্রবার সকালে আনুমানিক ১০টার দিকে তুরাগ ব্রিজ এলাকায় উল্টোপথ ধরে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের চাকায় মোটরসাইকেল আরোহী শ্রাবণ মিন্টু বাসচাপায় নিহত হন। একই ঘটনায় সাজু নামে আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।