রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা -যাযাদি
দলীয় হাইকমান্ডকে দুদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এ আল্টিমেটাম দেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি করে। কর্মসূচি শুরুর কিছু পর বৃষ্টি নামলে তারা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। বৃষ্টি শেষে আবারও কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে প্রায় ৪০০-৫০০ নেতাকর্মী অংশ নেন। কর্মসূচি সফলের জন্য সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে, আগামী শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ জন্য দলের দালাল সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। কী ধরনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে জানতে চাইলে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, কর্মসূচির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন সেখানে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যাবেন কিনা এমন প্রশ্নে পাইলট বলেন, না, আমরা সেখানে যাব না। বয়সের সীমা না রাখা, স্বল্পমেয়াদি কমিটি গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতারা। পরে ওইদিন রাতে দাবি পূরণে সাবেক ছাত্রনেতাদের (ছাত্রদলের কমিটি গঠনে বিএনপি গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা) আশ্বাসে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। পরে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সার্চ কমিটির সদস্য ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় দাবি পূরণে সবাই আশ্বাস দিলেও কার্যত এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। উলেস্নখ্য, গত ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আর কাউন্সিলে প্রার্থী হতে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যে কোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়াসহ তিনটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়।