পণ্যের মোড়কে ৫টি তথ্য বাংলায়, নিবন্ধনে আগ্রহ

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের মোড়কে ৫টি জরুরি তথ্য বাংলায় মুদ্রণ বাধ্যতামূলক করার পর মোড়ক নিবন্ধন সনদ নেয়ার আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডাস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের ২০৯টি পণ্যের জন্য মোড়ক নিবন্ধন সনদ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব পণ্যের মোড়ক নিবন্ধন নিতে উৎপাদক, উদ্যোক্তা, শিল্পপতিদের উদ্বুদ্ধ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিএসটিআইর পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মোহাম্মদ মামুনুর রহমান এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পণ্যের মোড়কের উপরিভাগে প্যানেলে বাংলা ভাষার অক্ষরের আকৃতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ৫টি তথ্য থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মোড়কের ভেতরের পণ্যের পরিচয়, নেট পরিমাণ বা সংখ্যা, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, পণ্য উৎপাদনের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবহারের মেয়াদোত্তীর্ণের) তারিখ, উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, পরিবেশক বা বিপণনকারীর নাম এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ ঠিকানা। ৩ বছরের জন্য একটি পণ্যের মোড়কের নিবন্ধন সনদ নিতে ফি জমা দিতে হয় ১ হাজার ১৫০ টাকা। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের (অতিরিক্ত) কথা উলেস্নখ করে মামুনুর রহমান বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি এ আইনের অধীন প্রণীত বিধি লঙ্ঘন করে মোড়কজাত আকারে যেকোনো পণ্য বিক্রি, পরিবেশন, সরবরাহ বা হস্তান্তর করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ বছরের কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার দেশের ভোক্তাদের পণ্যের সঠিক মান, ওজন বা সংখ্যা, মূল্য, মেয়াদ, উৎপাদনকারীর ঠিকানা ইত্যাদি মাতৃভাষায় নিশ্চিত করতে এ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা মতবিনিময়সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি। আশার কথা, ক্রমে সাড়াও পাচ্ছি বেশ। বাংলায় ৫টি তথ্য মোড়কে মুদ্রণের বিষয়ে আইন হলেও বিএসটিআইর উদাসীনতায় এখনো ভোক্তারা সুফল পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন কনজু্যমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, এদেশের ভোক্তারা সবাই ইংরেজি লিখতে, পড়তে পারে না। তাই মাতৃভাষা বাংলায় মোড়কে ৫টি জরুরি বিষয় মুদ্রণের বাধ্যবাধকতার জন্য আইন করেছে সরকার। কিন্তু বিএসটিআইর তদারকি, নজরদারি, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি, অভিযান না থাকায় এখনো বেশির ভাগ পণ্যের মোড়কে ইংরেজিতে জরুরি তথ্যগুলো মুদ্রিত হচ্ছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, আমাদের দাবি থাকবে ওয়ান টাইম পস্নাস্টিক কৌটা, টিনের কৌটায় ৫ জরুরি তথ্য যেন বাংলায় খোদাই বা অ্যাম্বোশ হরফে দেয়া হয়। তাহলে নকল পণ্য সরবরাহ ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে।