ভবিষ্যতে জাপা জোটের নেতৃত্ব দেবে: কাদের

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। পাশে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ অন্য নেতারা -ফোকাস বাংলা
ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি একটি জোটের নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। মঙ্গলবার রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, একটি সম্ভাবনাময় দল হিসেবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট আগামী দিনে সরকার গঠন করতে পারবে। কারণ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন না করলে বাংলাদেশে ভালো ফলাফল করা যাচ্ছে না। প্রতিটি দলই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। কিন্তু বড় দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হলে ছোট দলগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। তাই জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে, আমরা আমাদের স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতিতে একটি জোটের নেতৃত্ব দিতে পারব। আগামীতে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে থেকে ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পার্টি পরিচালনা প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পার্টি চলবে গঠনতন্ত্রের নির্দেশনায়। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত, পরামর্শ এবং শক্তিতে জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে। আমি পারিবারিক পরিচয়ে নেতৃত্ব দিতে চাই না। পার্টির সাধারণ কর্মীদের সমর্থন ও আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে চাই। সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই আমরা। সকাল থেকেই রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে আসা তৃণমূল নেতাকর্মীরা মতিঝিল এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নেন। তারা স্স্নোগানে স্স্নোগানে আশপাশের এলাকা মুখর করে তোলেন। দীর্ঘ দিন পরে পার্টির শীর্ষ নেতাদের সামনে মনের কথা তুলে ধরতে পারবেন এমন প্রত্যাশায় সবার মাঝে একটা উৎসবমুখর অবস্থা বিরাজ করছিল। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী রুহুলস্নাহ আসিফ। জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মূল সাংগঠনিক সভায় নেতাকর্মীরা প্রাণ খুলে মতামত দেন। প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতারা বক্তৃতা করেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিরকার লোটন, মো. এমরান হোসেন মিয়া, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ। \হচেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা, ড. নুরুল আজহার শামীম, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, শওকত চৌধুরী, সরদার শাহজাহান, জহিরুল আলম রুবেল, নিগার সুলতানা রানী, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, সুলতান আহমেদ সেলিম, শফিউলস্নাহ শফি, এসএম ইয়াসির, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুলতান আহমেদ, মো. হেলাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম খুশু, মো. জুলফিকার হোসেন, আবদুর রাজ্জাক খান, আনিসুর রহমান খোকন, লে. ক. (অব.) সাব্বির আহমেদ, আহাদ চৌধুরী শাহিন।