বাজেট সুবিধাভোগীদের জন্য: মোশাররফ

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন -যাযাদি
সুবিধাভোগীদের জন্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতি কর্তৃক ২০১৯-২০ বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ : আমাদের প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মোশাররফ বলেন, জনগণের জন্য এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। জনগণের জন্য বাজেট প্রণয়ন করা না হলে, দেশের জন্য বাজেট প্রণয়ন করা হয় না। আর দেশের জন্য বাজেট প্রণয়ন করতে হলে এদেশের যেই জনগোষ্ঠী তাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের নানাভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু এরা কারা। এরা হচ্ছে সুবিধাভোগী। সুইজারল্যান্ড ব্যাংকে প্রতি বছর বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কানাডায় বেগমপাড়া হচ্ছে, এরা কারা, সুবিধাভোগী। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে কারা, সুবিধাভোগীরা। এই সুবিধাভোগীর মধ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক নেতা আছেন, সমর্থক, সমর্থক ব্যবসায়ী আছেন, প্রশাসনের লোকেরা আছেন। আর এই সুবিধাভোগীদের দ্বারাই সরকার। সুবিধাভোগীদের জন্যই এই বাজেট। মোশাররফ বলেন, যেই শিক্ষা খাত এই দেশের জনগণকে সার্বিকভাবে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে স্বনির্ভর এবং সমৃদ্ধ করবে সেই জায়গায় ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। এখানে আমাদেরকে ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এভাবে ফাঁকি দিয়ে বেশিদিন চলা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, জনগণের দ্বারা এদেশের সরকার গঠিত হতে হবে। জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হবে। ব্যবসায়ী দশজন ধনী ব্যক্তির মধ্যে যদি একজন অর্থমন্ত্রী হয়, সেখানে বৈষম্য কমবে না, বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই যদি তার পরিবর্তন করতে হয় তাহলে সার্বিকভাবে পরিবর্তন করতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাই আমাদের সকলে যে যেই পর্যায়ে আছি আমরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব। তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে না পারলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না। আসুন আমরা ন্যায় বৃদ্ধি, জ্ঞান বৃদ্ধি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কলামিস্ট ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তাজমেরী এস ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মদ রহমতুলস্নাহ প্রমুখ।