পোস্তগোলায় বিআইডবিস্নউটিএর অভিযানে ফের বাধা, হামলা নির্বাহী হাকিম আক্রান্ত

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় আবার বাধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিস্নউটিএ)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ এলাকায় অভিযান শুরু করার পর বিআইডবিস্নউটিএর নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডবিস্নউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীনসহ অন্তত ছয়জনের ওপর হামলা চালায় দখলদাররা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশি পাহারায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরুর আগেই স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদ ওরফে রিপন তার কয়েক শত অনুসারীকে নিয়ে শ্মশানঘাট এলাকায় অবস্থান নেন। অভিযান শুরুর পরপরই কর্মকর্তাদের ওপর তারা চড়াও হন। একপর্যায়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। হামলার সময় পুলিশ সদস্যদের নির্লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। অবশ্য পরে ওই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এবং পুলিশি পাহারায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান বেলা ১১টার দিকে বলেন, 'গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার ছিল এই অভিযান কার্যক্রমের ৪২তম দিবস। কোনো দখলদার এমন ঔদ্ধত আচরণ করেননি। বুধবার ও বৃহস্পতিবার এমন বাধার মুখে পড়েন তারা। তবে মূল হোতা পালিয়ে গেছেন। তার সহযোগী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদ নদী ভরাট করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। বুধবার বিকালে বালুর ওই গদি অপসারণ করতে গেলে বিআইডবিস্নউটিএকে বাধা দেয়া হয়। বিআইডবিস্নউটিএ বলছে, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ও এর আশপাশের এলাকায় শুল্ক আদায় ও মালামাল ওঠানো-নামানোর জন্য স্থানীয় ইকবাল আহমেদকে ইজারা দেয়া হয়েছিল। ইকবাল স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদের ছোট ভাই। এর আগেও ইকবাল আহমেদের বাধার কারণে সেখানে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। অভিযান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করেন, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে অভিযান চালাতে গেলে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন ইব্রাহিম ও তার অনুসারীরা। একপর্যায়ে তারা বিআইডবিস্নউটিএর দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ইব্রাহিম আহমেদ।