মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন পাস করার দাবি

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১০:১৪

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় জাতীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান -যাযাদি

মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সুরক্ষা আইন পাস করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রবিরোধী ও মুজিব আদর্শবিরোধী পরিবারের সদস্য হয়েও তথ্য গোপন করে নানা উপায়ে দলীয় প্রার্থী হয়ে যারা জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে তারা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে চেতনাবিরোধী জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের সুকৌশলে অনুপ্রবেশ ও প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে' এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান ও অবমাননার শামিল। তাই এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সব হত্যা, অত্যাচার ও নির্যাতনের দ্রম্নত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের সন্তান ও তাদের নাতি-নাতনিদের সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি তাদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধের গণিমতের মাল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পদসমূহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পদায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, গত ১ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেটা আমাদের চেতনাবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল বিধায় আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ৪ জুলাই প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। যদিও পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে 'দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সাধারণ সদস্য নেওয়া হবে, কোনো যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের নেওয়া হবে না' মর্মে বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং অতীতে যারা দলে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বহিষ্কারের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছি। এক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযেগিতার প্রয়োজন হলে আমরা প্রস্তুত আছি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি-আধাসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আসীন হয়ে অদ্যবধি প্রশাসনে বসে আছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষশক্তিকে বিনাশ করতে নানাবিধ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধু-ঘোষিত বৈষম্যহীনভাবে বাংলাদেশকে এক সূত্রে গেঁথে বিনির্মাণের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধ্বংস করে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভিন্ন উপায়ে চাকরিতে ঢুকিয়ে প্রশাসনে আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা।