আ'লীগের আন্দোলনেই আগেরবার খালেদার মুক্তি মেলে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শুক্রবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -পিবিএ
আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই ১/১১ সময় কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ মাঠে আন্দোলন করেনি। তবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়ার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস' উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকারের সব উন্নয়নের মধ্যেই 'কিন্তু' খুঁজতে চায়। তারা নাকি দেখতে পায় দেশে উন্নয়নের নামে একশ্রেণির মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে। আমরা দেখেছি বিএনপির শাসনে যখন দেশ দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক তাদের ৫টি প্রকল্প থেকে অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারা নিজেরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল বলেই অন্যদের কাজের মধ্যে 'কিন্তু' খোঁজার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, তাদের দলের মহাসচি মির্জা ফখরুল বরিশালের এক সমাবেশে বলেছেন, দেশে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ একটি ভোটও পাবে না। একটি দলের মহাসচিব হয়ে কিভাবে এমন মন্তব্য করেন আমার বুঝে আসে না। কোনো মানসিক রোগীও তো বলতে পারে না একটি ভোটও আওয়ামী লীগ পাবে না। আসলে তাদের দলকে তারা কোন দিকে নিয়ে যেতে চায় তারাই ভালো জানে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা দুইদিন পরপর অভিযোগ করে বলেন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া খেতে পারছেন না, প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। পরে আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি খালেদা জিয়ার জিহ্বায় কামড় লাগায় কয়েকদিন খেতে পারেননি। আমার এমন সমস্যা হলে আমিও তো খেতে পারব না। এতে প্রাণহানির কী আছে। আবার তারা আন্দোলনের হুমকি দেয়, যা দেশবাসীর কাছে হাস্যকরে পরিণত হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তাদের নেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়। তথ্যমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, আজ দেশের উন্নয়ন কিছু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। এডিবি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, গত অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যেখানে আমাদের দাবি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, বিদু্যতের ব্যবহার ৪০ শতাংশ থেকে এখন ৯৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে এখন দুই হাজার ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।