মাদক কেন্দ্রে যুবকের মৃতু্য পরিবারের দাবি পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আনোয়ার হোসেন
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আনোয়ার হোসেন (৩৮) নামে এক যুবকের মৃতু্য নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। তবে ডায়রিয়ায় তার মৃতু্য হয়েছে বলে দাবি করেছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। শুক্রবার মধ্যরাতে হালিশহর আবাসিক এলাকার এইচ বস্নকে নিরাময় কেন্দ্রটিতে তার মৃতু্য হয়। আনোয়ার হোসেন এক সময় স্পেন প্রবাসী ছিলেন। তিনি রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার রিজার্ভ বাজারের বাসিন্দা হাজি নজু মিয়ার ছেলে। তবে তার পরিবারের সদস্যরা নগরের খুলশী এলাকায় বাড়ি করে সেখানে বসবাস করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আনোয়ার হোসেন এক সময় স্পেনে থাকতেন। চার-পাঁচ বছর আগে দেশে ফিরে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ছয়মাস আগে তাকে 'সেভার আলোর পথ' নামে ওই নিরাময় কেন্দ্রটিতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে নিরাময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় আনোয়ারকে জিইসি মোড়ের বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখতে পান আনোয়ার মারা গেছেন। তার লাশ রেখে পালিয়ে গেছে নিরাময় কেন্দ্রের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে আনোয়ার মারা গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আধাঘণ্টা আগে মারা গেছেন। মৃতু্যর কারণ হিসেবে ডায়রিয়ার কথা বলা হলেও মরদেহে বিভিন্ন স্থানে ও হাতে আঘাতের দাগ আছে। কপালেও রয়েছে জখম। এদিকে খবর পেয়ে রাতে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে যায় চকবাজার থানা পুলিশের একটি দল। ঘটনাস্থল হালিশহর থানার অধীনে থাকায় তারা ফিরে যান। এরপর হালিশহর থানা পুলিশ নিয়ে নিরাময় কেন্দ্রে যান আনোয়ারের পরিবারের সদস্যরা। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি স্পেনে ছিলেন। চার-পাঁচ বছর আগে দেশে চলে আসেন। গত ফেব্রম্নয়ারি থেকে নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন তিনি। আমরা জেনেছি, গতকাল তার ডায়রিয়া হলে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলে মারা যান তিনি। তবে হত্যার অভিযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখব। লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্র 'সেভার আলোর পথ'র পরিচালক মিজানুর রহমান ডালিম জানান, তার প্রতিষ্ঠানে পানি নিয়ে সমস্যা চলছিল। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় দু'জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।