ছুরি-চাপাতি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কারওয়ান বাজারের দোকানে তৈরি চাপাতি ও ছুরি -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির ঈদে চাপাতি ও ছুরির দাম বেড়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। তারা বলছেন, প্রতিবছর এই সময়টা এলেই নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। তবে বিক্রেতাদের ভাষ্য, কাঁচামালের দাম বাড়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজারের কামারপট্টিতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছর কোরবানির ঈদের তুলনায় এ বছর প্রতিকেজি লোহায় কামাররা ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পুরনো ছুরি চাকু ধার দিতেও অস্বাভাবিক দাম চাইছেন তারা। মিরপুর কাজীপাড়া থেকে ছুরি চাকু নিতে এসেছেন শাহিন আলম। তিনি বলেন, প্রতিবছর এখান থেকে ছুরি চাকু কিনি এবং পুরানগুলো ধার দিয়ে নিয়ে যাই। এখানকার ব্যবসায়ীরা এই সময়টার সুযোগে থাকেন। অন্য সময়ের তুলনায় এই সময় অস্বাভাবিক দাম হাঁকেন তারা। কোরবানির ঈদ আসলেই তারা মানুষকে ঠেকিয়ে ব্যবসা করেন। দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে মা জননী ভোলা কর্মশালা স্টোরের মো. সুমন বলেন, আগের তুলনায় প্রতিকেজি লোহায় ১০০ টাকা করে দাম বেড়েছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কয়লার দাম। আগে যে কয়লা ৮০০-৯০০ টাকা বস্তায় কিনে আনতাম। সেটি এখন হাজার ১৮০০-২০০০ টাকা আনতে হয়। এরপরও কয়লার মান ভালো না। 'এ ছাড়া সারাবছর লস দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এই সময়টায় একটু বেচাকেনা হয় বলে ব্যবসা করে টিকে আছি আমরা।' তিনি বলেন, মানুষ সারাবছর এগুলো কেনেন না তাই তাদের কাছে সামান্য দাম বাড়াটাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৩০০ টাকা এবং পাকা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছুরি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, গরু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা পিস এবং খাসি জবাইয়ের ছুরি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর প্রতি পিস ও কেজিতে ১০০-২০০ টাকা কমে কেনা গেছে। তাই দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা। এ ব্যাপারে কাওরান বাজার কামারপট্টি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়লার দাম বাড়া ও কর্মচারী বেতন বোনাসের বিষয় রয়েছে। তাই জিনিসপত্রের দাম তো বাড়ছে। তবে তা বেশি নয়। তিনি বলেন, দাম একটু বেশি হলেও আমাদের তৈরি জিনিসগুলো মান অত্যন্ত ভালো। এগুলো একবার কিনলে আট থেকে ১০ বছর ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কম দামে চায়না জিনিস কিনে ওয়ান টাইম ব্যবহার হবে এবং এটির মান তেমন ভালো নয়, তাই ভালো জিনিস পেতে হলে একটু দাম বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।