ঈদে দুই নাতনিকে পাশে পেলেন 'বাড়ির খাবার' খেলেন খালেদা

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঈদের দিন সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান তার ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি ও তাদের দুই মেয়ে -যাযাদি
কোরবানির ঈদের দুপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কেবিনে দুই নাতনিকে পাশে বসিয়ে বাসায় রান্না করা খাবার খেয়েছেন দুর্নীতির সাজায় কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ঈদের দিন দুই নাতনিকে কাছে পেয়ে খুশি হয়েছেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়াকে নিয়ে সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দেখতে। পরিবারের সদস্যরা জানান, জাহিয়া ও জাফিয়া দাদির পা ছুঁয়ে সালাম করলে দুই নাতনিকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন খালেদা জিয়া। ৭৪ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও দাঁত ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তাকে চলাচল করতে হয় হুইল চেয়ারে করে। ডায়াবেটিসের কারণে প্রতিদিন তার ইনসুলিন নিতে হয়। এর মধ্যেও ঈদের দিন দুই নাতনিকে কাছে পেয়ে খালেদা জিয়ার কিছুটা সময় 'অন্যরকম কেটেছে' বলে মন্তব্য করেন এই পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন। তিনি বলেন, 'উনি সবার কাছ থেকে পরিবারের অন্যদের খোঁজ-খবর নেন। দেশে কী হচ্ছে, কী পরিস্থিতি সেটা জানতে চান।' দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রম্নয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে তাকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিন বস্নকের ৬২১ নম্বর কেবিনে। অন্তরীণ অবস্থায় এটি তার টানা চতুর্থ ঈদ। এর আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবনে স্থাপিত উপ-কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেখানেও তাকে দুটি ঈদ কাটাতে হয়েছিল। কারা কর্তৃপক্ষ এবার পরিবারের ছয়জনকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিল। কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়াও খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং ছেলে অভিক এস্কান্দার গিয়েছিলেন দেখা করতে। দুপুর ১-৩০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কেবিন বস্নকে আসার পর প্রায় দুই ঘণ্টা তারা ছয় তলায় খালেদা জিয়ার কেবিনে কাটান। শর্মিলা এ সময় বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার খেতে দেন শাশুড়িকে। একজন আত্মীয় জানান, ঈদের দিন শর্মিলার আনা খাবারের মধ্যে ছিল পোলাও, মাংসের রেজালা, আলুর চপ, সবজি, জর্দা, দুধ-সেমাই ও মিষ্টি। সেবার জন্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে থাকা গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও একই সঙ্গে ঈদের খাবার খেয়েছেন বলে জানান ওই আত্মীয়। পরিবারের সদস্যরা যখন ছয় তলায় খালেদা জিয়ার কেবিনে, মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমীনসহ জনা-পনের নেতাকর্মী তখন কেবিন বস্নকের নিচে অপেক্ষা করছিলেন। ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীও সেখানে ছিলেন।