'যুদ্ধ বাধলে কাশ্মীরকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ'

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কাশ্মীর-ভারত যুদ্ধে জড়ালে বাংলাদেশের জনগণ কাশ্মীরের পক্ষে থাকবে এবং তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়ার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের সীমানা থেকে এক ইঞ্চি জায়গাও দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। সর্বদলীয় কাশ্মীর সংহতি ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সভাপতি আলস্নামা নূর হোসাইন কাসেমী এ হুশিয়ারি দেন। শুক্রবার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জুমার নামাজের পর এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা ভারতের সংবিধান থেকে বাতিলকৃত ৩৭০ ধারা পুনর্বহালের দাবি জানান। অথবা কাশ্মীরকে স্বাধীন করে দেয়ার দাবি তুলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ১৯৭১ সালে যে কারণে ভারত বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলেন। আমরাও সে কারণে কাশ্মীরের পক্ষ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে চাই। আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ থেকে কোনো জায়গা দেয়া হলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমদি দেন এই নেতা। খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছিল তখনই এদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশের তৎকালীন অবস্থার চেয়ে আরও খারাপ। এ সময় নেতা-কর্মীরা 'কাশ্মীরের স্বাধীনতা দিতে হবে দিয়ে দাও' স্স্নোগানে স্স্নোগানে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট প্রকম্পিত করে। সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের জন্য জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকার দাবি তুলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল হকের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফি, জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম, ফরায়েজী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. আজিজুর রহমান, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাফিজ খসরু প্রমুখ।