চামড়া নিয়ে খেলছে কারা খুঁজছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দরপতনের 'খেলায় মেতে উঠা চক্রকে' খুঁজে বের করতে সরকার সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশে চামড়ার মোট চাহিদার বড় একটি অংশই আসে কোরবানির পশু থেকে। এবার ঈদের দিন থেকে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে কম দামে চামড়া কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ আসতে থাকে। আড়তদাররা চামড়া কেনা বন্ধ রাখলে সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিক্ষুব্ধ মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অনেক চামড়া সড়কে ফেলে দেন।
চামড়া শিল্প ধ্বংস করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ আসে বিএনপির কাছ থেকে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, 'দেশের পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। আদমজী জুটমিল কারা বন্ধ করেছিল?'
বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে চামড়াশিল্পে রপ্তানি বাড়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বর্তমান সংকটের একটি চক্রকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, সেই হিসেবে ট্যানারির সংখ্যা বাড়েনি। এই সুযোগ নিয়ে একটি চক্র চামড়ার দরপতনের খেলায় নেমেছে। এই চামড়ার দরপতনের খেলায় যারা মেতেছে, সরকার তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।'
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের চক্রান্তের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সভায় বক্তব্যে একই দাবি তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, 'বিশ্বে অন্য রাষ্ট্রনায়কদের হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতের পাশাপাশি কমিশন গঠন করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে আছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং জড়িতদের সব তথ্য জনগণের সামনে উত্থাপন করার স্বার্থে দ্রম্নত কমিশন গঠন করা দরকার।'
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব উমর ফারুক চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ এবং ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।