বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট
বর্তমান সরকার নাৎসীবাদের মতো জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখে সবকিছু করছেন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ- সব সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এখন যে বিচার হচ্ছে এটা ক্রোধ বাস্তবায়নের বিচার। এর কোনো জবাব নেই। এর জবাব হচ্ছে গণঅভু্যত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই জনগণ জবাব দেবে- কে দায়ী আর কে দায়ী না। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কেবল প্রধানমন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই নন, আমরা বিস্মিত হয়েছি যখন দেখেছি দু-একটি পত্রিকা এবং সরকারি নেতাদের মালিকানাধীন টেলিভিশনে ইনিয়ে-বিনিয়ে বেসামাল ভাষায় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ওপর দোষ চাপাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য, প্রকৃত ঘটনা এভাবে মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দেখছি- আওয়ামী লীগ ২১ আগস্ট বোমা হামলা-মামলা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করছে। মূলত ২১ আগস্টের ঘটনা ছিল গভীর নীলনকশার অংশ, এ নীলনকশার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা জড়িত কি-না তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ মামলার সামগ্রিক সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসত। কিন্তু তা না করে সুপরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক কায়দায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগ। তার বড় প্রমাণ হলো কথিত সম্পূরক চার্জশিটের নামে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া। যা ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও দীর্ঘদিনের মাস্টারপস্ন্যানের ফসল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নজমুল হক নান্নু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আমিনুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
